মেরিটাইম শিল্পের জন্য সাইবার নিরাপত্তা এখন অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সংস্থা (আইএমও) জাহাজের সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (এসএমএস) সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে ২০২১ সাল জাহাজ পরিচালনাকারীদের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।
শিপিং শিল্পে সাইবার ঝুঁকির হুমকি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি আইএমও খাতসংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে মেরিটাইম সেফটি কমিটির (এমএসসি) রেজল্যুশন এমএসসি.৪২৮(৯৮) গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে সম্ভাব্য সাইবার ঝুঁকি শনাক্তের অনুরোধ জানিয়েছে। ওই রেজল্যুশন অনুযায়ী, শিপ অপারেটরদের নিশ্চিত করতে হবে যে, তাদের বিদ্যমান এসএমএস যথাযথভাবে সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি মোকাবিলা করতে সক্ষম। ঝুঁকিগুলোর মধ্যে রয়েছে ম্যালওয়্যার আক্রমণ, এনক্রিপ্টেড হুমকি, ক্রিপ্টো জ্যাকিং, সার্ভার বা সিস্টেমে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, র্যানসমওয়্যার আক্রমণ এবং আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) ম্যালওয়্যার।
সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় আইএমও একগুচ্ছ নির্দেশনা প্রদান করেছে, যেখানে মেরিটাইম খাতে ঝুঁকিগুলো শনাক্তের পাশাপাশি সেগুলো মোকাবিলা বা ব্যবস্থাপনায় বিস্তারিত সুপারিশমালা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসব সুপারিশ বিদ্যমান এসএমএস ম্যানুয়ালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার লক্ষ্য শিপিং খাতের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়তা করা।
জাহাজের যেসব সিস্টেমে সাইবার হামলার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রিজ সিস্টেমস, কার্গো হ্যান্ডলিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস, প্রপাালশন অ্যান্ড মেশিনারি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড পাওয়ার কন্ট্রোল সিস্টেমস, অ্যাকসেস কন্ট্রোল সিস্টেমস, প্যাসেঞ্জার সার্ভিসিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস, প্যাসেঞ্জার ফেসিং পাবলিক নেটওয়ার্কস, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যান্ড ক্রু ওয়েলফেয়ার সিস্টেমস এবং কমিউনিকেশন সিস্টেমস।
সাইবার ঝুঁকি সম্পর্কে আইএমওর এ গাইডলাইন সংশ্লিষ্ট অন্য নীতিমালাগুলোর আলোকে একটি উপযুক্ত সাইবার ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কৌশলপত্র প্রণয়নে সহায়তা করবে বলে শিল্পসংশ্লিষ্টরা অভিমত প্রকাশ করেছেন।