বাল্টিক সাগরে ডার্ক ফ্লিটের আনাগোনা বেড়েছে

মেরিটাইম আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) কোম্পানি উইন্ডওয়ার্ডের সাম্প্রতিক প্রতিবদেন অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে বাল্টিক সাগরে জাহাজের ডার্ক অ্যাক্টিভিটি বা অজ্ঞাতসার কর্মকাণ্ড ৫৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেসব জাহাজ তাদের অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (এআইএস) অকার্যকর করে অজ্ঞাতসারে কার্যক্রম পরিচালনা করে, শিপিং খাতে সেসব জাহাজ ‘ডার্ক শিপ’ হিসেবে পরিচিত। রাডার, স্যাটেলাইট বা পাবলিক মনিটরিং সিস্টেমগুলোইয় এ ধরনের জাহাজের গতিবিধি ধরা পড়ে না।

উইন্ডওয়ার্ডের বিশ্লেষণে জানা যায়, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে ডার্ক শিপের সংখ্যা ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অজ্ঞাতসার জাহাজের সংখ্যার দিক দিয়ে বাল্টিক অঞ্চল পৃথিবীর অন্যান্য যেকোনো প্রান্তকে ছাড়িয়ে গেছে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক হামলা চালানোর পর রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো। পশ্চিমা বিশ্বের এই নিষেধাজ্ঞার জেরে রুশ বন্দরগুলোও ডার্ক ফ্লিটের আনাগোনা বেড়েছে।

তৃতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক ডার্ক ফ্লিটের শীর্ষ গন্তব্যস্থল রাশিয়ায় এক হাজারের বেশি পোর্ট কল করা হয়েছে। রুশ বন্দরে পোর্ট কলের পর ট্যাংকার জাহাজগুলোর অজ্ঞাতসার কার্যক্রম ২৭ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে একই সময়ে সিঙ্গাপুরে ডার্ক ফ্লিটের পোর্ট কলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৩ শতাংশ।

ডার্ক ফ্লিটের কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যপথগুলোর নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। এমন অবস্থায় নিরাপদে কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে অনেক শিপিং কোম্পানিই তথ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বারস্থ হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান শিপিং কোম্পানিগুলোকে ডার্ক ফ্লিটের গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে সহায়তা করছে।

প্রসঙ্গত, ডার্ক ফ্লিটের কার্যক্রম-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে সম্প্রতি এনার্জি ট্রেড ফ্লো অ্যানালিটিক্স কোম্পানি গ্যাস ভিস্তা কিনে নিয়েছে স্যাটেলাইট ডাটা অ্যানালিটিক্স কোম্পানি সিনম্যাক্স।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here