চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশ্বের সেরা ৩০ বন্দরে আনার স্বপ্ন

কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে বর্তমানে বিশ্বে চট্টগ্রাম বন্দরের স্থান ৫৮তম। সেটি ৩০তম স্থানে আনার স্বপ্নের কথা বলেছেন নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘‘আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরকে আপনারা অন্যরকম দেখবেন।’’

২০ ডিসেম্বর বন্দরের শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে বন্দর উপদেষ্টা কমিটির ১৪তম সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি একথা বলেন। নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিংয়ে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) রিভাইস করা হচ্ছে। কর্ণফুলী ড্রেজিংয়ের ক্ষেত্রে যে ধরনের ইকুইপমেন্ট দরকার, সেগুলো আমরা সংগ্রহ করছি। কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর চালু রাখতে গেলে আমাদের এই ড্রেজিংটা চালু রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ‘‘চট্টগ্রাম বন্দর এখন পূর্ণ সক্ষমতায় চালু আছে এবং দিন দিন এটি এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ২০১৯ সালে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৬৪তম স্থানে ছিলাম। এই ২০২০ সালে ৫৮তম স্থানে এসেছি। আপনারা নিশ্চয় জানেন, চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন। বর্তমানে বন্দরের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী এবং মিরসরাই পর্যন্ত চলে গেছে। বে টার্মিনালের ব্যাপারেও আলোচনা চলছে। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) আমরা ২০২১ সালে চালু করতে যাচ্ছি।’’

এছাড়া সভায় বন্দরের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে বেসরকারি কনটেইনার ডিপো বা অফডক সরানো, অফডকের বিভিন্ন সেবার বিল কমানো, বন্দরের নিলাম ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম জোরদার করা, যানজট, বন্দরের বিশেষায়িত হাসপাতাল, টোল রোড, বন্দরের স্টেকহোল্ডার ও বাণিজ্য সংগঠনের প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

একই দিন দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর গেটের সামনে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার ভবনের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here