আকর্ষণীয় সুবিধা দেওয়ার কারণে তুরস্কের বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে বলে জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্যের ডাইভারসিফিকেশনের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণও বৃদ্ধি করতে চায় তুরস্ক।’
২০ জানুয়ারি রাজধানীর গুলশানে ইবিএল প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকটির সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তুরস্ক ওষুধ প্রস্তুত শিল্প, আইটি, কৃষিশিল্প, হালকা প্রকৌশল, সেবা খাতে, পর্যটন ও স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার উপায় খুঁজছে। শিগগিরই এফবিসিসিআই এবং তুরস্কের ফরেন ইকোনমিক রিলেশন্স বোর্ডের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা-সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে।’
বর্তমানে তুরস্ক-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রতি বছর তুরস্কে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পাট রপ্তানি করে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে তুর্কি বিনিয়োগ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘শীর্ষস্থানীয় তুর্কি প্রতিষ্ঠান আইগাজিস চট্টগ্রামের এলপিজি সেক্টরে বড় আকারের বিনিয়োগ নিয়ে আসছে।’ দু’দেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মধ্যে বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি তুরস্ক-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে বলেও জানান তুর্কি রাষ্ট্রদূত।