ইপিজেডের রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান নাকানো ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেডের নামে কাপড়ের জন্য কাঁচামাল আনার ঘোষণায় চীন থেকে দুই কনটেইনার পণ্য আমদানি করে। তবে কায়িক পরীক্ষায় দেখা যায় কনটেইনার দুটিতে কাঁচামাল আমদানির পরিবর্তে প্রায় ৪০ টন পর্দা ও সোফার কাপড় আনা হয়েছে। দেড় কোটি টাকা মূল্যের এ চালানে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়েছে।
একটি কনটেইনার আসার প্রায় দেড় মাস এবং অন্য কনটেইনার আসার পর ২০ দিন অতিবাহিত হলেও পণ্য খালাসের জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পরে কনটেইনারে ঘোষণা-বহির্ভূত পর্দা ও সোফার কাপড় আছে এমন গোপন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে কনটেইনার দুটির বিএল ব্লক করে পণ্য পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমদানিকারকের প্রতিনিধিকে মৌখিকভাবে অনুরোধ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমদানিকারকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কনটেইনার দুটি তাদের প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানীকৃত নয় এবং কেউ তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে পণ্যের চালান দুটি আমদানি করেছে। পরে কমিশনারের নির্দেশে কনটেইনার দুটি ফোর্স কিপ ডাউন করে কায়িক পরীক্ষার উদ্যোগ নেন এআইআর শাখার কর্মকর্তারা। ১৩ জানুয়ারি কায়িক পরীক্ষায় ঘোষিত নির্দিষ্ট পণ্যের কাঁচামালের পরিবর্তে পর্দা ও সোফার কাপড় পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার (এআইআর) রেজাউল করিম বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ।’