যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ সাইবার হামলার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ ও ক্রিপ্টোকারেন্সি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন উত্তর কোরীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে। উত্তর কোরিয়ার অবৈধ শিপিং কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্য এ হামলা পরিচালনা করা হয় বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস আদালতে দায়ের করা মামলার নথিতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত তিন উত্তর কোরীয় রিকনোশাঁ জেনারেল ব্যুরোর (আরজিবি) সদস্য। উত্তর কোরিয়ার সামরিক গোয়েন্দা এজেন্সি হিসেবেই এরা পরিচিত। ২০১৮ সালে এফবিআইয়ের দায়েরকৃত অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে নতুন অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, দলটি ক্ষতিসাধন, তথ্য ও অর্থ চুরির মতো ষড়যন্ত্রে জড়িত। উত্তর কোরীয় সরকার ও দেশটির প্রধান কিম জং উনয়ের কৌশলগত ও আর্থিক স্বার্থ পূরণে এরা কাজ করে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সাইবার হামলার পেছনে অপরাধীদের উদ্দেশ্য ছিল ২০১৭ ও ২০১৮ সালে উত্তর কোরিয়ার শিপিং কার্যক্রমে তহবিল সরবরাহ। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়াতে দেশটির সরকার অবৈধভাবে এ শিপিং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এ দলটি মেরিন চেইন টোকেন নামে একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রোগ্রাম উন্নয়ন ও বিপণন করে। পাশাপাশি প্রাথমিক কয়েনের গণপ্রস্তাবও পরিচালনা করে, যেন বিনিয়োগকারীরা মেরিন শিপিং ভেসেলের মালিকানাস্বত্ব কিনতে পারে। ভেসেলগুলোর মালিকানার তথ্য লুকিয়ে রাখতে উত্তর কোরিয়া এ প্রোগ্রামটি ব্যবহার করে। এ ভেসেলগুলোই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে।
অভিযোগে বর্ণিত অন্য কর্মকা-গুলোর মধ্যে রয়েছে সনি পিকচারস, এএমসি থিয়েটারস এবং ম্যামথ স্ক্রিনের ওপর সাইবার হামলা। উত্তর কোরিয়া ও দেশটির সর্বোচ্চ নেতাকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে নির্মিত চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিবেশনার জন্য এগুলোর বিরুদ্ধে সাইবার হামলা করা হয়।