চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিঙ্গাপুরের জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে ইলেকট্রনিক ট্রানজেকশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল। এ বিল পাসের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনিক বিল অব ল্যাডিং তৈরি ও ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা আইনতভাবে কাগুজে বিল অব ল্যাডিংয়ের সমতুল্য।
ইলেকট্রনিক বিল অব ল্যাডিং কাগুজে ল্যাডিং বিলের কিছু সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে সক্ষম। এগুলো হচ্ছে ডকুমেন্টের তাৎক্ষণিক স্থানান্তর এবং যাচাই ও সংশোধনের পেছনে ব্যয়িত সময় হ্রাস; ডিজিটাল অথেনটিকেশন প্রযুক্তির কারণে জালিয়াতির বিরুদ্ধে অধিক সুরক্ষা; লিগ্যাল ডকুমেন্টেশন, ট্র্রান্সপোর্টেশন ও ট্র্র্রেড ফিন্যান্সিংয়ে স্বল্প খরচ; এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব।
২০২০ সালে ডিজিটাল কনটেইনার শিপিং অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ইবিএলের তুলনায় কাগুজে বিল প্রক্রিয়াকরণের ব্যয় প্রায় তিন গুণ বেশি। সংস্থাটির প্রাক্কলন অনুযায়ী, যদি ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ ইবিএলের প্রচলন ঘটানো যায়, তাহলে প্রতি বছর সম্ভাব্য সাশ্রয় হতে পারে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার।