নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন

দেশে নতুন চারটি মেরিন একাডেমির পাশাপাশি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার অবকাঠামো ও শতাধিক জলযানের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ মে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই সবই জনগণের স্বার্থে। কাজেই এগুলোর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।’

সমুদ্রগামী জাহাজে দেশের নাবিকদের চাকরির বিশাল সুযোগকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নৌবাণিজ্যে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে পাবনা, বরিশাল, রংপুর ও সিলেটে নতুন এই চার মেরিন একাডেমি গড়ে তোলা হয়েছে। তাতে ব্যয় হয়েছে ৫২১ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা। বছরে ৪০০ ক্যাডেটের পাশাপাশি সমুদ্রগামী মেরিনাররা বিভিন্ন ধাপে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন এসব একাডেমিতে।

প্রধানমন্ত্রী একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের বিআইডব্লিউটিএ’র ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজার, ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান এবং নারায়ণগঞ্জের ড্রেজার বেইজেরও উদ্বোধন করেন। নতুন ২০টি ড্রেজার নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র বহরে ড্রেজারের সংখ্যা হলো ৪৫টি। এছাড়া আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।

এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ জাহাজ ‘টিএস ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী’, বিশেষ পরিদর্শন জাহাজ ‘পরিদর্শী’ এবং বিআইডব্লিউটিসি’র উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’-এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিআইডব্লিউটিসি’র বহরকে দক্ষ ও যুগোপযোগী করতে উপকূলীয় যাত্রীবাহী অত্যাধুনিক জাহাজ দুটি তৈরি করা হয়েছে। জাহাজ দুটি সন্দ্বীপ চ্যানেলের কুমিরা-গুপ্তছড়া এবং চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ-হাতিয়া-বরিশাল রুটে চলাচল করবে। আরো ৩৫টি বাণিজ্যিক ও ৮টি সহায়ক জলযান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বিআইডব্লিউটিসি’র।

নৌপথে দুর্র্ঘটনা এড়াতে দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনা ও যথাযথ ক্ষতিপূরণের স্বার্থে সব ধরনের নৌযানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেই সব নৌযান চলাচল করে, আমি মনে করি প্রত্যেকটারই রেজিস্ট্রেশনের সিস্টেম থাকা উচিত। এই রেজিস্ট্রেশন না থাকার কারণে অনেক সময় ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা যায় না। নৌযানে যাতায়াতকারী এবং পরিচালনাকারী সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। যখনই যারা (নৌপথে) চলাচল করবেন, একটু সাবধানে চলাচল করবেন।’

প্রধানমন্ত্রী এদিন পায়রায় দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের পুনর্বাসনে প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০০টি বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করেন। পর্যায়ক্রমে ৩ হাজার ৪২৩টি পরিবারকে সেখানে পুনর্বাসন করা হবে।

সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here