চট্টগ্রাম বন্দর নিরাপত্তা উপদেষ্টা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২১ সেপ্টেম্বর। বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান সভাপতিত্ব করেন। এতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, পুলিশ, র্যাব, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিসহ কমিটির সদস্যরা অংশ নেন।
সভার শুরুতে চট্টগ্রাম বন্দরের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষের চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল মোস্তফা আরিফ-উর রহমান খান। এরপর সমুদ্রপথ ও বন্দর এলাকায় সংঘটিত অপরাধ নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন রিক্যাপের প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর জাহাজ চলাচল ও অবস্থানের নিরাপদ সমুদ্র এলাকা হিসেবে প্রতিফলিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘রিক্যাপের প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চট্টগ্রাম বন্দরের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই বহির্নোঙরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। এতে জাহাজের বিমা প্রিমিয়াম কমে আসবে বলে আশা করি, যা কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমাতেও ভূমিকা রাখবে।’ বর্ধিত বহির্নোঙর এলাকার নিরাপত্তা আরও জোরদার, বিপজ্জনক পণ্য পরিবহনে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ, ইয়ার্ডে প্রবেশে পরিবহনের অনলাইন পেমেন্ট শতভাগ বাস্তবায়ন, দ্রুততম সময়ে স্ক্যানার স্থাপন নিশ্চিত করা, অকশন গোলায় ডাম্পিং করা পণ্য দ্রুত বন্দর কর্তৃক নির্মিত নতুন অকশন শেডে স্থানান্তরসহ বেশকিছু বিষয়ে সভায় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। এ সময় তিনি সভায় উপস্থাপিত সব প্রস্তাব ও মতামত গুরুত্ব দিয়ে তা বাস্তবায়নে বন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সহায়তা করবে বলে সংশ্লিষ্টদের জানান।