সামুদ্রিক পরিবেশসহ ১২টি খাতের উন্নয়নে একসাথে কাজ করবে বাংলাদেশ-ইউএই

বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) যৌথ কমিশনের (জেসি) পঞ্চম সভায় ১২টি সম্ভাবনাময় খাত চিহ্নিত করা হয়েছে। সভায় উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রের নানা বিষয় পর্যালোচনা করে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য এসব খাত চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সহযোগিতা, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও কনস্যুলার খাতে সহযোগিতা, বেসরকারি বিমান চলাচল, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আহমেদ আলী আল সায়েগের যৌথ সভাপতিত্বে ওই সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। হাইব্রিড (সশরীরে ও ভার্চুয়ালি) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জেসি সভায় উভয় প্রতিনিধি দলের দলনেতা ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। সভায় উভয় দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি সংস্থার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

বিনিয়োগসংক্রান্ত সহযোগিতা, আবুধাবি উন্নয়ন ফান্ডের মাধ্যমে সহযোগিতা বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ খাতে সহযোগিতা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা, সামুদ্রিক পরিবেশ উন্নয়ন খাতে সহযোগিতা, কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যশিক্ষা খাতে সহযোগিতা এবং মানবিক ও দাতব্য সহায়তা-সংক্রান্ত সহযোগিতা চিহ্নিত করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত উভয়ই একই সময়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে। ১৯৭৪ সালে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরকারি সফরে প্রয়াত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের ঐতিহাসিক সাক্ষাতের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে একটি শক্তিশালী বন্ধুত্বের ভিত্তি স্থাপন হয়। আমাদের উভয় সরকারই সেই পথ অনুসরণ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন সহযোগিতা সংক্রান্ত আমাদের সম্ভাবনাকে আরও কাজে লাগাতে আগ্রহী।

বাংলাদেশ ও আমিরাতের মধ্যে অনুষ্ঠিত পঞ্চম যৌথ কমিশন সভা পারস্পরিক বোঝাপড়া, বন্ধুত্ব এবং শ্রদ্ধাবোধ সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয়। দুই দেশের প্রতিনিধিদের ফলপ্রসূ আলোচনার পর একটি ‘সম্মত কার্যবিবরণী’ স্বাক্ষর হয়।

উভয় দলের দলনেতা সম্মত কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষর করেন। পরবর্তী যৌথ কমিশন সভার তারিখ আলোচনার মাধ্যমে পরে নির্ধারিত হবে, যা আবুধাবিতে অনুষ্ঠানের বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here