রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। অক্টোবরে রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৭২ হাজার ৬৪২ একক। যা এখন পর্যন্ত এক মাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড।
দেশের পোশাক খাতের ওপর ভিত্তি করে রপ্তানি বাণিজ্যে গতি ফিরে আসায় এ রেকর্ড গড়া সম্ভব হয়েছে। আর রপ্তানি পণ্য সঠিক সময়ে জাহাজীকরণে সর্বোচ্চ সেবা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। রপ্তানি হওয়া অন্যান্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্রকৌশল ও রাসায়নিক পণ্য ইত্যাদি।
চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৯২৭ একক। এর মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে অক্টোবরে, সংখ্যায় ৭২ হাজার ৬৪২ একক। এ ছাড়া জুলাইয়ে ৭০ হাজার ৭৮৬ একক, আগস্টে ৬৭ হাজার ৪০ ও সেপ্টেম্বরে ৭১ হাজার ৪৫৯ একক রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদকৃত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে গত মাসে ৪০ হাজার ৫৯২ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এক মাসে রপ্তানির হিসাবে তা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮০-৮৫ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। চলতি অর্থবছরের চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ২৬২ কোটি ডলার বা ১ লাখ ৮ হাজার ৫৩২ কোটি টাকার। এ আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। এছাড়া কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানি হয়েছে ৪৬ কোটি ডলার, হোম টেক্সটাইল ৪১ কোটি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ৩৬ কোটি, পাট ও পাটজাত পণ্য ৩৩ কোটি ডলারের।