মায়েরস্ককে পেছনে ফেলে শীর্ষ কনটেইনার লাইনার এমএসসি

আলফালাইনারের তালিকা প্রকাশ

অনন্য এক সাফল্যের খবরের মধ্য দিয়ে নতুন বছর শুরু করল মেডিটারেনিয়ান শিপিং কোম্পানি (এমএসসি)। আর এই সুখবর তাদের দিয়েছে আলফালাইনার। তথ্য বিশ্লেষক ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটির করা শীর্ষ ১০০ কনটেইনারবাহী জাহাজ কোম্পানির তালিকায় মায়েরস্ককে সরিয়ে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে এমএসসি। অর্থাৎ ধারণক্ষমতার বিচারে এমএসসি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় কনটেইনারবাহী জাহাজ কোম্পানি।

প্রথমবারের মতো শীর্ষস্থানে পৌঁছলেও মায়েরস্ককে কিন্তু খুব বেশি ব্যবধানে পেছনে ফেলতে পারেনি এমএসসি। মাত্র ১ হাজার ৮৮৮ টিইইউর ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে তারা। কোম্পানিটির মোট প্রায় ৪৩ লাখ টিইইউ সক্ষমতার তুলনায় এ সংখ্যাকে মাত্রই বলতে হবে।

কনটেইনারবাহী জাহাজ খাতে এমএসসির যখন আবির্ভাব, মায়েরস্ক তখন প্রতিষ্ঠিত এক জায়ান্ট। কয়েক দশক ধরেই র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান তাদের দখলে। সেই মায়েরস্ককে সরিয়ে শীর্ষে আসতে অনেক দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হয়েছে এমএসসিকে। এই ধারা সামনের বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত না হওয়ায় কোম্পানিটিকে লেনদেনের সব তথ্য প্রকাশ করতে হয় না। এ কারণে বিশ্লেষকদের নতুন জাহাজ নির্মাণের কার্যাদেশ, চার্টার ও সেকেন্ডহ্যান্ড টনেজের মতো কিছু তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই এমএসসির প্রবৃদ্ধি পর্যালোচনা করতে হয়। আলফালাইনার ধারণা করছে, নতুন প্রায় ১০ লাখ টিইইউ যোগ করার মাধ্যমে এমএসসি তাদের কনটেইনার পরিবহন সক্ষমতা এক-চতুর্থাংশ বাড়াবে।

১৯৭০ সালে যাত্রা করা এমএসসির বহরে বর্তমানে জাহাজ রয়েছে ৬৪৫টি, যার সম্মিলিত সক্ষমতা ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ৭২৮ টিইইউ। অন্যদিকে ড্যানিশ শিপিং জায়ান্ট মায়েরস্কের বহরে রয়েছে ৭৩৮টি জাহাজ, যার সম্মিলিত সক্ষমতাও ৪২ লাখ ৮২ হাজার টিইইউর বেশি।

এমএসসির মতো সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত নেই মায়েরস্কের। তবে তাদের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী সিএমএ সিজিএম, হ্যাপাগ, কসকো, ওয়ান, এভারগ্রিন ও এইচএমএম এরই মধ্যে অন্তত ২০ শতাংশ সক্ষমতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। এছাড়া অন্যরা ২৪ হাজার টিইইউ ধারণক্ষমতার আল্ট্রা-লার্জ ভেসেল বহরে যুক্ত করার প্রতিযোগিতায় নামলেও মায়েরস্ক এখন পর্যন্ত একটিরও কার্যাদেশ দেয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here