বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র পরিবহন কোম্পানি মায়েরস্ক। বিস্তৃত এর শিপিং নেটওয়ার্ক। জাহাজের বহরটাও অনেক বড়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সমুদ্র পরিবহন সেবা দিতে গিয়ে মায়েরস্কের জাহাজগুলোকে বিভিন্ন ধরনের আবহাওয়া ও জলবায়ুর সম্মুখীন হতে হয়। এবার সেই অভিজ্ঞতাই সবার সাথে বিনিময় করবে কোম্পানিটি।
সম্প্রতি মায়েরস্ক ঘোষণা দিয়েছে, ২০১২ সাল থেকে তাদের জাহাজগুলো জলবায়ু-সংক্রান্ত যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছে, সেগুলো বিনামূল্যে পাবলিক ডোমেইনে দিয়ে দেবে তারা। এই তথ্য বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। মায়েরস্ক দাবি করছে, তাদের এই তথ্য পাবলিক ডোমেইনে যুক্ত হলে সামুদ্রিক জলবায়ু সম্পর্কিত তথ্যের প্রাপ্যতা ২৮ শতাংশ বেড়ে যাবে।
বর্তমানে মায়েরস্কের ৩০০ জাহাজ দৈনিক জলবায়ু-সংক্রান্ত প্রায় ৭ হাজার তথ্য সংগ্রহ করে। কোম্পানিটি গত ১০ বছরে সংগৃহীত ৯০ লাখের বেশি পর্যবেক্ষণের তথ্য গ্লোবাল ওশান অবজার্ভিং সিস্টেমে শেয়ার করবে। ডোমেইনটি ইউনেস্কো ও ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) যৌথভাবে পরিচালনা করে।
বর্তমানে সামুদ্রিক জলবায়ু সম্পর্কে যেসব তথ্য পাওয়া যায়, তার বেশিরভাগই আসে স্যাটেলাইট ও বিভিন্ন মেটওশান বয়া থেকে। কিন্তু এসব তথ্যের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বর্তমানে গ্রাউন্ড লেভেল ডেটা কভারেজ খুবই সীমিত। এ অবস্থায় জলবায়ু গবেষণা ও আবহাওয়ার পূর্বাভাসের কাজে সহায়তার লক্ষ্যে নিজেদের কাছে থাকা তথ্যগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মায়েরস্ক।
কোম্পানিটি বলছে, গত এক দশকে সমুদ্রপৃষ্ঠের জলবায়ু ও গতিবিধি কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে, তাদের তথ্যগুলো সে বিষয়ে একটি স্পষ্ট চিত্র বিজ্ঞানীদের সামনে তুলে ধরবে।