চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২১) ৩৫ লাখ টন প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি করেছে মিসর। অর্থবছর শেষে এই রপ্তানির পরিমাণ ৭৫ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস কোম্পানি ইজিপশিয়ান ন্যাচারাল গ্যাস হোল্ডিং কোম্পানির (ইগ্যাস) সাধারণ সভায় সম্প্রতি এই তথ্য জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রী তারেক মোল্লা।
সাম্প্রতিক মাসগুলোয় মিসর গ্যাস অনুসন্ধানে খনন কার্যক্রম বাড়িয়েছে। এ সময়ে দেশটি গ্যাস অনুসন্ধান-সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তিও করেছে। এসব তৎপরতার ফলে দেশটির গ্যাস রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এদিকে আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরে তিনটি গ্যাস অনুসন্ধান চুক্তি সম্পাদনের প্রত্যাশা করছে ইগ্যাস। এছাড়া পাঁচটি উত্তোলন প্রকল্প বাস্তবায়নেরও সম্ভাবনা রয়েছে এ সময়ে।
জ্বালানি মন্ত্রী বলেন, যে উত্তোলন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে, সেগুলোর অধীনে ৩৩টি গ্যাস কূপ খনন করা হবে। এগুলো থেকে দৈনিক ৪৫ কোটি ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস ও দৈনিক ১৭ হাজার ব্যারেল কনডেনসেট উত্তোলন সম্ভব হবে। ভূমধ্যসাগর ও ডেল্টা অঞ্চলে মিসর ১৩টি গ্যাসকূপ খনন করবে বলে জানান তিনি।
চলতি অর্থবছরে নতুন চারটি গ্যাস উত্তোলন প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এর মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু করবে ১২টি কূপ। এসব কূপ থেকে দৈনিক ৩৭ কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাস ও দৈনিক ১২ হাজার ১০০ ব্যারেল কনডেনসেট উত্তোলন সম্ভব হবে।
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২১ সালে মিসরের প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন বেড়েছে ১৭ শতাংশ। এ সময়ে দেশটির গ্যাস উত্তোলনের পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৩১ লাখ টন। গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মিসর এলএনজি রপ্তানি করেছে ১০ লাখ টন।