সোমালিয়ায় নতুন কাউন্টার-পাইরেসি সেন্টার চালু

ছবির কৃতজ্ঞতা: ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসিস্ট্যান্স মিশন ইন সোমালিয়া

নিজেদের উপকূলীয় সীমানাজুড়ে জলদস্যুতার বিরুদ্ধে নজরদারি ক্রমেই বাড়িয়ে চলেছে সোমালিয়া। তাদের এই উদ্যোগকে সহায়তার লক্ষ্যে সম্প্রতি সোমালি পুলিশ ফোর্স (এসপিএফ) ডিপার্টমেন্ট অব কোস্ট গার্ডের জন্য নতুন একটি কাউন্টার-পাইরেসি সেন্টার চালু করা হয়েছে। ৩০ লাখ ডলারের এই নতুন ফ্যাসিলিটি নির্মাণ করেছে জাতিসংঘ। আর এতে তহবিল সহায়তা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই সেন্টার চালু হওয়ার ফলে ভারত মহাসাগরে নিজেদের জলসীমায় জলদস্যুদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্ষমতা বাড়বে এসপিএফের।

আন্তর্জাতিক শিপিং রুটে জলদস্যুতার ঝুঁকি নিরসনে নজরদারি জোরদার করার ক্ষেত্রে এসপিএফের জন্য অপারেশনাল বেইজ হিসেবে কাজ করবে এই সেন্টার। সোমালিয়ার সমুদ্র অর্থনীতির সম্প্রসারণেও সহায়ক হবে এটি। সেন্টারটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি সরঞ্জামে সুসজ্জিত একটি হেডকোয়ার্টারস ব্লক, একটি কারাগার, একটি ফ্লোটিং জেটি ও বোট র‌্যাম্প এবং এসপিএফ সদস্যদের আবাসন ব্যবস্থা।

১ হাজার ৮০০ নটিক্যাল মাইল উপকূলীয় সীমানা থাকায় ভারত মহাসাগরের বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে সোমালিয়া। এক সময় এই সমুদ্র এলাকা ছিল নাবিকদের কাছে রীতিমতো আতঙ্কের এক নাম। ২০১১ সালে সেখানে জলদস্যুতার সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছিল। সে বছর ২৩৭টি জলদস্যুতার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে এখন সোমালিয়ার জলসীমা বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর জন্য অনেকটাই নিরাপদ। ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সেখানে জলদস্যুতার ঘটনা ঘটেছে মাত্রা ১৪টি।

সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুতা প্রতিরোধের সক্ষমতা বৃদ্ধি, সমুদ্র আইনের প্রয়োগ ও সামুদ্রিক সুশাসন নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি কাজে গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে সহায়তার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছে জাতিসংঘ। নতুন কাউন্টার-পাইরেসি সেন্টার সেই উদ্যোগেরই একটা অংশ। ১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের একটি ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here