ইউক্রেনের গমের চাহিদা অনেক বেশি-এমন দেশগুলোয় রপ্তানির জন্য আটকে থাকা ইউক্রেনীয় গমের চালান পৌঁছে দিতে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা সরকার। আজ দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় এই কথা জানিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলোসহ অনেক উন্নয়নশীল দেশকেই খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য ইউক্রেনের কৃষিজ পণ্য, বিশেষ করে গম আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর থেকে সেই রপ্তানিতে ছেদ পড়েছে। রুশ সেনারা ইউক্রেনের সমুদ্রবন্দর অবরুদ্ধ করে রাখায় কয়েক ডজন বিদেশী পতাকাবাহী জাহাজ ও প্রায় ২ কোটি টন ইউক্রেনীয় খাদশস্য আটকা পড়েছে।
ইউক্রেনের আজোভ সাগর উপকূল বর্তমানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কৃষ্ণ সাগরের ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোও রুশ সেনাদের দখলে। ফলে রপ্তানি বাজারে দেশটির খাদ্যশস্য পরিবহনের খুব বেশি পথ খোলা নেই। এই মুহূর্তে সেরা একটি বিকল্প হলো রোমানিয়ার কনস্টান্টা বন্দর ব্যবহার করা। ইউক্রেনের সবচেয়ে নিকটবর্তী বন্দর এটি। সড়ক ও অভ্যন্তরীণ জলপথের মাধ্যমে সেখানে পণ্য নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তবে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম পণ্যই এই পথে রপ্তানি করা সম্ভব।
এই অবস্থায় সড়ক ও রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্রস-বর্ডার ট্রান্সপোর্টেশনের জন্য একটি সলিডারিটি লেন তৈরির জোর চেষ্টা চালাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সর্বশেষ ঘোষণার মাধ্যমে কানাডা সেই উদ্যোগের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করল।
এক বিবৃতিতে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি বলেছেন, ‘আমরা এর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি। আমরা সমাধান চাই। ইউক্রেনের গম যেন রপ্তানি বাজারে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়, তা নিশ্চিত করার মহান উদ্যোগে আমরাও অংশ নেব।’
এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে রোমানিয়া ও কৃষ্ণ সাগরের অন্যান্য বন্দর থেকে ইউক্রেনের গম আনতে কার্গো জাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে কানাডা। এরপর সেই গম তারা পৌঁছে দেবে মিশর ও লেবাননের মতো দেশগুলোয়, যেখানকার খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ইউক্রেনের গম সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা খুবই জরুরি।