শতাধিক রপ্তানিকারক ক্ষতিপূরণ চেয়েছে বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষের কাছে

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বিএম কনটেইনার ডিপো। ফাইল ছবি

সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ২৫টি সংস্থার হালনাগাদ লাইসেন্স ও ছাড়পত্র রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্মার্ট গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী।

বৃহস্পতিবার (৭ ‍জুলাই) বিকেলে নগরের লালখান বাজারের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ দাবি করেন।

এ সময় বিএম ডিপোর মহাব্যবস্থাপক মাইনুল আহসান, পরিচালক শফিকুর রহমান, ইয়াসিন মজুমদারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অগ্নিকাণ্ডে হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে শামসুল হায়দার সিদ্দিকী বলেন, শতাধিক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএম ডিপোর কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়েছে। ইতিমধ্যে ডিপোতে অক্ষত থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান আমদানি-রপ্তানি পণ্য খালাসের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, ২০১০ সালে দেশি-বিদেশি প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে বিএম ডিপো প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর ২৫টি সংস্থারই লাইসেন্স ও ছাড়পত্র নিয়ে কমপ্লায়েন্স মেনে ডিপোর অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিএম ডিপো। বর্তমানেও সব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ও ছাড়পত্র হালনাগাদ রয়েছে। সব ধরনের লাইসেন্স ও ছাড়পত্রের কপি সরকারি সব তদন্ত কমিটিকে দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, নিহত ২৬ জন ও আহত ৪৩ জনের পরিবারকে ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মে ও জুন মাসের বেতন ও কোরবানির বোনাস দেওয়া হয়েছে। নিহত আহতদের বাড়িতে, বাসায় বেতন ভাতা ও বোনাসের টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

এই দুর্ঘটনার দুর্বল দিক মোকাবেলা করে নতুন করে দাঁড়ানোর প্রেরণা জোগাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দুর্ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নেব। অন্যদেরও এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখনো কোনো সরকারি সংস্থার তদন্ত রিপোর্ট আমাদের হাতে আসেনি। তদন্ত রিপোর্ট ও পরামর্শ-সুপারিশ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here