অগ্নিনির্বাপনের নতুন ডিভাইস ব্যবহার করবে মায়েরস্ক

সাগরে অবস্থানকালে জাহাজে আগুন লাগার বিষয়টি ভেসেল অপারেটরদের জন্য অন্যতম মাথাব্যাথার কারণ। বেশ কয়েকটি বড় দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় জাহাজে অগ্নিদুর্ঘটনার প্রকোপ কিছুটা কমলেও তা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়নি। বিশেষ করে কনটেইনার জাহাজগুলোর জন্য তা এখনো দুশ্চিন্তার বিষয়। কারণ কনটেইনারে পরিবহনের সময় অনেক ক্ষেত্রে পণ্যের বিবরণ সঠিক দেওয়া হয় না, যার মাধ্যমে গোপনে অনেক বিপজ্জনক পণ্য পরিবহন করা হয়। আবার বৈধভাবেও এমন অনেক রাসায়নিক পণ্য পরিবহন করা হয়, যেগুলো ভয়ংকর রকমের দাহ্য।

শীর্ষ অন্য সব কনটেইনার ক্যারিয়ারগুলোর মতো মায়েরস্ককেও অগ্নিদুর্ঘটনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন এই ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা যায়, সে লক্ষ্যে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ডেনিশ শিপিং কোম্পানিটি। তারা তাদের জাহাজগুলোয় এমন একটি টুল ব্যবহার করতে চলেছে, যেটি কনটেইনারের ভেতরে আগুন লাগলে তা কনটেইনারের বাইরে ছড়িয়ে পড়ার আগেই নিভিয়ে ফেলতে ক্রুদের সহায়তা করবে।

হাইড্রোপেন নামের এই টুলটি হলো একটি টেলিস্কোপিং ডিভাইস, যার মাধ্যমে আগুন লাগা কনটেইনারের সরাসরি ভেতরে অগ্নিনির্বাপক সামগ্রী (পানি, ফোম অথবা কার্বন ডাইঅক্সাইড) নিক্ষেপ করা যাবে। কনটেইনার ডেকের ওপরে থাকুক অথবা নিচে, কিংবা সারির নিচের দিকে থাকুক অথবা মাঝামাঝি, তাতে কোনো সমস্যা হবে না। বর্তমানে আগুন নেভানোর প্রথাগত যে পদ্ধতি চালু রয়েছে, তাতে জ্বলন্ত কনটেইনারের বাইরে পানি স্প্রে করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ওপরের সারির কনটেইনারের আগুন নেভানো সম্ভব হলেও মাঝামাঝি অথবা নিচের সারির কনটেইনারের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়তে হয়।

২০১৬ সালে ‘গ্যারেজ প্রজেক্ট’ হিসেবে হাইড্রোপেন ডেভেলপমেন্টের কাজ শুরু করেন দুই উদ্যোক্তা। ২০১৭ সালে তারা একটি কোম্পানিও চালু করেন। ২০২১ সালে সেই কোম্পানিকে কিনে নেয় ভাইকিং লাইফ-সেভিং ইকুইপমেন্ট নামের আরেকটি কোম্পানি। তারা জানিয়েছে, এরই মধ্যে শিপিং খাতে সীমিত পরিসরে হাইড্রোপেনের ব্যবহার শুরু হয়েছে। তবে মায়েরস্ক এটি পূর্ণ পরিসরে ব্যবহার করতে যাচ্ছে বলে ভাইকিং জানিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here