চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ দরকার

গোল টেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ দরকার আছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে দৈনিক ইত্তেফাকের আয়োজনে ‘দেশীয় বিনিয়োগে চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ চ্যানেল তৈরি করেছেন। কয়েকদিন আগে আমেরিকার ৩৮টি কোম্পানির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা বলেছে, ঘষিয়াখালী যে চ্যানেলটা আছে, সেখানে তারা স্ট্যাডি করবে। নেভিগেশন লক করার জন্য বিনিয়োগ করবে। এটা আমাদের জন্য একটা বিরাট ব্যাপার, আমেরিকান একটা কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে। এই জায়গাটা (সুযোগ) তৈরি করেছে বর্তমান সরকার।’

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বন্দর নিয়ে আমরা এখন চিন্তায় না, বাস্তবায়নে আছি। এটা সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আমরা অনেকেই জানি না হয়তো। কয়েকদিন আগে আমরা দেশীয় ইয়ার্ডে তৈরি একটা জাহাজ ইংল্যান্ডে রপ্তানি করেছি। সেটা পাঁচ মিটার বরফ কেটে চলতে পারবে। সুতরাং, এই জায়গায় যদি কেউ বিনিয়োগ করেন, তাহলে আসতে পারেন। কারণ, সেই সক্ষমতা বাংলাদেশের তৈরি হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, আমরা কিন্তু দরজা খুলে দিয়েছি। সমুদ্রে যেমন আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে, সীমানা নির্ধারণ হয়েছে, তেমনই আমরা অর্থনীতির দরজাও খুলে দিয়েছি। সেখানে বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। আমরা চাই, দেশি বিনিয়োগের সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগও আসুক।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে— সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার এবং এটা শুরু হয়ে গেছে। ২৪ ঘণ্টা বন্দর খোলা থাকে। বন্দরে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে এবং এগুলো আমরা দূর করতে চাই। এখানে আরও বেশি সেবা দিতে চাই।

নৌপথের গুরুত্ব উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যদি নৌপথ তৈরি না করি, তাহলে ছয় লেন বলেন, ডাবল রেললাইন বলেন, যা-ই বলেন না কেন, সব জ্যাম লেগে যাবে। একটা ট্রাকে একটা কনটেইনার আসে,কিন্তু একটা জাহাজে দুইশ’ থেকে তিনশ’ কনটেইনার আসে। সুতরাং, আমাদেরকে নৌপথ দিয়ে কনটেইনার নিয়ে আসার কথা ভাবতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর লাইফলাইন। এটা আমরা আরও কয়েকটা বন্দরে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা অভ্যন্তরীণ নৌপথ প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার টার্গেট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। যেটা ব্যবসায়ীদের জন্য খুব উপকারী হবে মালামাল যাতায়াতের ক্ষেত্রে।’

গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, এফবিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক ও পোর্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান অঞ্জন শেখর দাশ, বিকডা সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান, বাফা সভাপতি কবির আহমেদ।

বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) সহ-সভাপতি খায়রুল আলম সুজন বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here