উত্তরণের ধারায় তিন দশকের সর্বনিম্নে সামুদ্রিক জলদস্যুতা: আইএমবি

চলতি বছরের প্রথম নয় মাস

গত দুই বছর ধরে সমুদ্র শিল্পে জলদস্যুতার ঘটনা পতনমুখী রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে তিন দশকের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে সামুদ্রিক জলদস্যুতা ও সশস্ত্র ডাকাতি। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো (আইএমবি)। একই সঙ্গে তারা এই অর্জনে সন্তুষ্ট না থেকে আরও সাফল্য অর্জনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

বৈশ্বিক সামুদ্রিক জলদস্যুতা নিয়ে আইএমবির সর্বশেষ প্রান্তিকীয় প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে সারা বিশ্বে জাহাজগুলোর ওপর জলদস্যু ও সশস্ত্র ডাকাতদের হামলার ঘটনার খবর পাওয়া গেছে ৯০টি। ১৯৯২ সালের পর এই সংখ্যা সর্বনিম্ন। ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের নয় মাসে জলদস্যুতা কমেছে ৭ শতাংশ। গত বছর জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর মেয়াদে এ ধরনের ৯৭টি ঘটনার কথা জানিয়েছিল আইএমবি।

অবশ্য জলদস্যুরা জাহাজে আরোহনে সফল হওয়ার হার চলতি বছর বেড়েছে। নয় মাসে ৮৫টি ক্ষেত্রে জলদস্যুরা জাহাজে উঠতে পেরেছে, যা গত বছরের একই সময়ের সমান। তবে চলতি বছর মোট ঘটনার তুলনায় এর হার ৯৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আলোচ্য সময়ে ক্রুদের জিম্মি করার ঘটনা গত বছরের আটটি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭টি।

নয় মাসে মোট ঘটনার মধ্যে ৪০টি ঘটেছে জাহাজ অ্যাংকরেজে থাকা অবস্থায়। ৩৭টি ঘটেছে সমুদ্রে চলাচলের সময়। আর জাহাজ বার্থিংয়ে থাকা অবস্থায় দুষ্কৃতিকারীদের অপতৎপরতার খবর পাওয়া গেছে ১৩টি। সবচেয়ে বেশি হামলার শিকার হয়েছে বাল্ক ক্যারিয়ার-৪০টি। এছাড়া ট্যাংকারের ক্ষেত্রে ২৩টি ও কনটেইনার জাহাজের ক্ষেত্রে ১০টি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।

আইএমবির প্রতিবেদন অনুসারে, গিনি উপসাগরে জলদস্যুতা অনেকটাই কমেছে। নয় মাসে এই অঞ্চলে মাত্র ১৩টি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে, যেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৭ আর ২০২০ সালে ৪৬। তবে সিঙ্গাপুর প্রণালীতে জলদস্যুতা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে প্রণালীটিতে ৩১টি ক্ষেত্রে জলদস্যুরা জাহাজে উঠতে সক্ষম হয়েছে, যেখানে আগের বছরের প্রথম নয় মাসে সংখ্যাটি ছিল ২১।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here