পায়রা বন্দর প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প : নৌপ্রতিমন্ত্রী

পায়রা বন্দরের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পায়রা বন্দর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রকল্প। দক্ষিণাঞ্চলের অবহেলিত জায়গা তুলে আনা এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ‍্যে প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর নির্মাণ করেছেন। তাঁর স্বপ্নের প্রকল্পের প্রতিটি জায়গায় তাঁকে সম্পৃক্ত করতে চাই। পায়রা বন্দরকে ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলে জাগরিত অর্থনীতি দেখতে পাচ্ছি।

আগামী ২৭ অক্টোবর ভার্চুয়ালি পায়রা বন্দরের একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে সোমবার বন্দরের সভাকক্ষে এক প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। উন্নয়ন কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও আটটি নৌযানের উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল, ৬ লেন সংযোগ সড়ক ও সেতু নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন।

সভায় স্থানীয় সংসদ সদস‍্য মহিবুর রহমান মুহিব, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম‍্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. রফিকুল ইসলাম খান, পায়রা বন্দরের পর্ষদ সদস্য কমডোর মামুনুর রশীদ, কমডোর রাজীব ত্রিপুরা ও ক‍্যাপ্টেন এম মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, এসব উন্নয়ন কাজের ফলে পায়রা বন্দর পরিপূর্ণ সক্ষমতার সাথে কাজ করতে পারবে এবং দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে। ইতোমধ্যে ২৩৬টি সমুদ্রগামী জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের মাধ্যমে রাজস্ব আয় করেছে ৫৪৮ কোটি টাকা।

পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের ফলে বন্দর থেকে সাগরের সাগর পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০০ থেকে ১২৫ মিটার প্রশস্ত ও ১০ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার একটি চ্যানেল তৈরি হবে। এতে করে বন্দরে ৪০ হাজার টন কার্গো ও ৩ হাজার টিইইউস কনটেইনারবাহী জাহাজ ভিড়ানোর সক্ষমতা তৈরি হবে। ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের জন্য ব্যয় হবে ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। বিশ্বখ্যাত বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল এ কাজটি করবে।

পায়রা বন্দরের জন্য নির্মিত আটটি নৌযানের মধ্যে দুইটি পাইলট ভেসেল, দুইটি হেভি ডিউটি স্পীডবোট, একটি ভয়া লেইং ভেসেল, একটি সার্ভে বোট এবং দুইটি টাগবোট রয়েছে। এসব নৌযান বন্দরে দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের চলাচলে সহায়তা ও চ্যানেলের সংরক্ষণ কাজ করবে।

পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল, ৬-লেন সংযোগ সড়ক এবং সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে টার্মিনালটির তিনটি জেটিতে একসাথে তিনটি কনটেইনার বা কার্গোবাহী জাহাজ এসে ভিড়তে পারবে। বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করে অপারেশনাল কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

৬ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬ লেনের সংযোগ সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্মাণ করছে। এতে ব্যয় হবে ৬৫৬ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কাজটি শেষ করার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। পায়রা বন্দরে যান চলাচলের সুবিধার্থে আন্দারমানিক নদীর উপর ১ হাজার ১৮০ মিটার দীর্ঘ ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৭৪০ কোটি টাকা। কাজটি শেষ করতে ৩০ মাস সময় লাগবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here