ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে বাণিজ্যিক সেবা কার্যালয় খুলেছে দেশটি। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য আরও সহজ করতে এ উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দূতাবাসের কর্মকর্তারা বলছেন, এই উদ্যোগের ফলে দুই দেশের বাণিজ্য আরও বাড়বে।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যিক সেবা কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক ও দেশীয় বাণিজ্যসেবা বিভাগের মহাপরিচালক অরুণ ভেঙ্কটরমন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। একই অনুষ্ঠানে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বাণিজ্য মেলারও (ইউএস ট্রেড শো) উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের প্রধান রপ্তানি বাজার। দেশটিতে তৈরি পোশাকের রপ্তানি ১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, আমদানিও প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এখন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যসেবা কার্যালয় স্থাপনের ফলে দুই দেশের ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক ও দেশীয় বাণিজ্যসেবা বিভাগের মহাপরিচালক অরুণ ভেঙ্কটরমন বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যিক সম্পর্কের ৫০ বছর পার করেছে। এখন পরবর্তী ৫০ বছরে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে কাজ করছি আমরা।
ট্রেড শোর উদ্বোধনের আগে অরুণ ভেঙ্কটরমনের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৈঠক শেষে টিপু মুনশি বলেন, জিএসপি সুবিধা পেতে যা যা করা প্রয়োজন ছিল, আমি মনে করি আমরা তা পূরণ করতে পেরেছি। এ জন্য আমরা তাদেরকে বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ করেছি। তারা বিষয়টি যাচাই করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।