বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসা বাড়ানোর তাগিদ

বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটানোর সহজ উপায় বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়ানো। এ জন্য রেমিট্যান্স পাঠানো সহজ করার পাশাপাশি সুবিধাভোগীর কাছে নিরাপদে তাৎক্ষণিকভাবে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আর রেমিট্যান্স বাড়ানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হতে পারে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম।

বুধবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত এক সেমিনারে এমন অভিমত তুলে ধরেন বক্তারা। রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে ‘বৈধ পথে রেমিট্যান্স :ডিজিটাল মাধ্যমের সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, শুরু থেকেই আমি রেমিট্যান্সে প্রণোদনা দেওয়ার বিপক্ষে ছিলাম। অনেকে আড়াই শতাংশ প্রণোদনার জন্য এখানকার অর্থ বাইরে নিয়ে আবার দেশে পাঠাচ্ছে। কে কত টাকা বেতনে দেশের বাইরে যাচ্ছে, তাদের নাম-ঠিকানাসহ সরকারের কাছে আছে। অথচ যাওয়ার পরেই অনেকে ৫ হাজার ডলার পাঠিয়ে দিচ্ছে।

পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ডলার সংকটের সাময়িক সমাধান হতে পারে আমদানি নিয়ন্ত্রণ। স্থায়ী সমাধানের জন্য রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বাড়াতে হবে। এ ছাড়া রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের মধ্যে ডলারের দরের পার্থক্য কমাতে হবে।

তিনি বলেন, এজেন্টরা যেখানেই দর বেশি পায়, সেখানে বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে দেয়। ফলে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর বিষয়ে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

মূল প্রবন্ধে গবেষণা সংস্থা সানেমের চেয়ারম্যান ড. বজলুল এইচ খন্দকার বলেন, বাংলাদেশ রেমিট্যান্স পাঠানোর গড় খরচ ৪ শতাংশের বেশি, যা কমিয়ে আনতে হবে। হুন্ডির মাধ্যমে দ্রুত ও অনেক কম খরচে টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণেই অনেকে ওই পথ বেছে নিচ্ছেন। এ অবস্থা থেকে বের হতে এমএফএসসহ ডিজিটাল মাধ্যমের ব্যবহার বাড়াতে হবে। এতে খরচ ও সময় অর্ধেক কমানো সম্ভব হবে।

ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভীর সভাপতিত্বে সেমিনার সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here