বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে নৌযোগাযোগ বৃদ্ধি এবং মেরিটাইম সহযোগিতাকে সম্প্রসারিত করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমৃদ্ধশালী হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ উপলব্ধি থেকে উভয় দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নির্ধারণ করে একসাথে কাজ করছে। বুধবার ঢাকায় সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি এবং শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম ইউ এম আলী সাবরি নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
সভায় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে কোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্ট এবং শ্রীলঙ্কা শিপিং কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের মধ্যে ফিডার সার্ভিস চালু করতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে কোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্ট বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। আমরা সকল দপ্তর-সংস্থা, সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে সভা করে এবং তাদের নিকট থেকে প্রাপ্ত মতামত এবং ইনপুট পর্যালোচনা করছি। এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট আইন এবং বিধি-বিধান পর্যালোচনা শেষে শ্রীলঙ্কাকে শীঘ্রই জানানো হবে।
বৈঠকে জানানো হয়, শ্রীলঙ্কান শিপিং কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের মধ্যে ফিডার সার্ভিসের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) বিষয়ে শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের মতামত বিষয়ে একটি রিভাইজড টেক্সট পাঠিয়েছে। এ এসওপি’র বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় নৌপরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট এসব দপ্তর ও সংস্থা থেকে মতামত পাওয়ার পর বাংলাদেশ টেক্সট চূড়ান্ত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কাকে জানিয়ে দেবে।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার প্রফেসর সাধার্শন সেনেভিরত্ন উপস্থিত ছিলেন।