সাগরে জলদস্যুতা কমেছে, নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে: আইএমবি

আরও একবার সমুদ্র শিল্পের জন্য সুখবর দিল ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো (আইএমবি)। সংস্থাটির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে সামুদ্রিক জলদস্যুতা কমার স্বস্তিদায়ক চিত্র ফুঠে উঠেছে। অবশ্য এই সুখবর দিয়েই বসে নেই আইএমবি। ২০২২ সালে অর্জিত অগ্রগতি ধরে রাখার জন্য নজরদারি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহবানও জানিয়েছে তারা।

আইএমবি বলেছে, ২০২২ সালে জলদস্যুতার ঘটনার সংখ্যা কমার পাশাপাশি ভয়াবহতাও কমেছে। এই সময়ে সশস্ত্র হামলা, অপহরণ, হাইজ্যাকিংয়ের ঘটনা অনেকটাই কমেছে বলে তারা জানিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে জলদস্যুতা ও সশস্ত্র ডাকাতির মোট ১১৫টি ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৩২টি। অর্থাৎ গত বছর জলদস্যুতা কমেছে ১২ দশমিক ৮৮ শতাংশ। অগ্রগতি আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে, যখন জানা যাবে যে ২০২০ ও ২০১৮ সালে জলদস্যুতার ঘটনা ঘটেছিল প্রায় ২০০টি।

গত বছর মোট ঘটনার ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে জলদস্যুরা জাহাজে উঠতে সমর্থ হয়। আর মোট ঘটনার দুই-তৃতীয়াংশ ঘটেছে পাঁচটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে, বিশেষ করে সিঙ্গাপুরের আশেপাশের জলসীমায়। আইএমবি জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, বিশেষ করে সিঙ্গাপুর প্রণালী বর্তমানে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পাঁচ বছর আগেও যেখানে এই প্রণালীতে মাত্র তিনটি জলদস্যুতার ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে ২০২২ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮।

বছর দুয়েক আগেও গিনি উপসাগর ছিল নাবিকদের কাছে রীতিমতো আতংকের নাম। ২০১৮ সালে সেখানে জলদস্যুতার ঘটনা ঘটেছিল ৮২টি। ২০২০ সালে ৮৪টি। গত বছর এই জলপথটি অনেকটাই নিরাপদ হয়ে উঠেছে। ২০২২ সালে সেখানে জলদস্যুতার খবর পাওয়া গেছে ১৯টি।

আইএমবি বলেছে, সাগরে জলদস্যুতা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন প্রচেষ্টার সুফল মিলতে শুরু করেছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে নজরদারির উদ্যোগগুলোকেও চালু রাখতে হবে।

Facebook Notice for EU! You need to login to view and post FB Comments!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here