বাংলাদেশ সরকারের কী করতে হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দেবে না বিশ্বব্যাংক, বরং এ দেশের মানুষের চাহিদা মেটাতে সরকার যেসব অগ্রাধিকার ঠিক করবে তা পূরণে সহায়ক শক্তি হিসেবে পাশে থাকবে। বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের অপারেশন বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ভ্যান ট্রটসেনবার্গ। এ ছাড়া বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে, বিশেষ করে শিক্ষাসহ কয়েকটি খাতে বিশ্বব্যাংক তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার। বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দিতে গত শনিবার ঢাকায় এসেছেন বিশ্বব্যাংকের এমডি ভ্যান ট্রটসেনবার্গ।
সংবাদ সম্মেলনে ভ্যান ট্রটসেনবার্গ বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের ৩৭০টি প্রকল্পে প্রায় ৪২ বিলিয়ন ডলারের মতো আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক তার অঙ্গভুক্ত সংস্থা আইডিএর (আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা) আওতায় অনুদান, সুদবিহীন ঋণ ও নমনীয় ঋণ হিসেবে এসব অর্থ দিয়েছে। অনুদান পাওয়া সেক্টরের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, কৃষি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা।
বিশ্বব্যাংকের এমডি বলেন, বাংলাদেশ গত ৫০ বছরে তার দারিদ্র্যসীমা কমিয়ে আনতে এবং আয়সীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর আমরা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি। তাতে দেখিয়েছি যে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে এ দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৫০-৭০ ডলার। বর্তমানে তা প্রায় আড়াই হাজার ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে।
কভিড-পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংক নতুন করে বাজেটারি সহায়তা দেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ভ্যান ট্রটসেনবার্গ বলেন, সব উন্নয়নশীল দেশে তীব্র অর্থের ঘাটতি। এ সংকট মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংক স্বল্প সময়ের জন্য কোনো অর্থায়ন নয়; বরং শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ চলমান প্রকল্পগুলোয় দীর্ঘমেয়াদে অর্থায়ন করে যাবে।