ডলার নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি : এনবিআর

দেশে ডলারের অনেক সংকট আছে বলে আতঙ্ক ছড়ানোর মতো কোনো বিষয় নেই। ডলার-সংকট এত বেশি মাত্রায় যায়নি যে এটা নিয়ে সাংঘাতিক আতঙ্কিত হয়ে সবকিছু আমদানি বন্ধ করে দিতে হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২০২৩ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

প্রতিবছর ২৬ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস হিসেবে পালন করে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) সদস্যভুক্ত ১৮৩টি দেশ। বাংলাদেশও এই সংস্থার সদস্য। এ বছরের কাস্টমস দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্মের লালন: কাস্টমসে জ্ঞানচর্চা ও উত্তম পেশাদারত্বের বিকাশ’। দিবসটি উপলক্ষে সেমিনার, মতবিনিময় সভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে এনবিআর।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে সারা বিশ্বেই ডলার নিয়ে একটা বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ কারণে সবাই চেষ্টা করছে যেন ডলারের পর্যাপ্ত মজুত থাকে। তবে দেশে ডলার নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা কিছু কিছু অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসপণ্য বাছাই করে সেসবের আমদানিকে নিরুৎসাহিত করার জন্য শুল্ক বাড়িয়েছি। এ ছাড়া ডলার সাশ্রয়ে আমাদের তরফ থেকে করার কিছু নেই। আমরা আমদানি বন্ধ করতে পারব না। আমদানি কমিয়ে ডলার সাশ্রয় সব সময় ভালো ফল আনবে কি না, সেটাও ভেবে দেখতে হবে। কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আমদানি কমিয়ে ডলার সাশ্রয়ের কথা ভাবলে চলবে না।

গত বছরের তুলনায় এবারে রাজস্ব আদায়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে বলে জানান রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে শুল্ক থেকে ৮৯ হাজার ৪২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছিল। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে শুল্ক আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৯৫০ কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি।

রহমাতুল মুনিম বলেন, বিশ্বজুড়ে যে মন্দা পরিস্থিতি রয়েছে, দেশের বাণিজ্যেও এর প্রভাব পড়েছে। আমদানি কমে যাওয়ায় এই খাতে শুল্ক আদায় কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে শুল্কহার কমানো হয়েছে। এতেও রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে। তা সত্ত্বেও শুল্ক আদায়ে সার্বিকভাবে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এভাবে চললে অর্থবছর শেষে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here