মহাসড়কে রপ্তানি পোশাক চুরি ঠেকাতে বিজিএমইএর পাঁচ প্রস্তাব

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পোশাক শিল্পের শত শত কোটি টাকার রপ্তানিযোগ্য পণ্য পরিবহনের সময় চুরি হয়েছে। এ অভিযোগ তুলে চুরি ঠেকাতে চালক ও হেলপারদের ডাটাবেজ তৈরিসহ পাঁচটি প্রস্তাব জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীতে বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব দেন সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।

ফারুক হাসান বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পরিবহনকালে পোশাক শিল্পের শত কোটি টাকার রপ্তানিযোগ্য পণ্য কাভার্ড ভ্যান থেকে চুরি হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে আমরা দফায় দফায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধান এবং ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি, যা জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে।

বিজিএমইএর পাঁচটি প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, ক) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের চলমান কাজ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করা। খ) এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করা। প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা। গ) কতিপয় নামসর্বস্ব কোম্পানি এসব চুরির মালামাল ক্রয় করে স্টকলট হিসেবে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে। স্টকলট রপ্তানির ক্ষেত্রে মালের উৎস নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে বিজিএমইএ-বিকেএমইএ থেকে সনদপত্র গ্রহণের মাধ্যমে রপ্তানির অনুমোদন দেয়া যেতে পারে। ঘ) তাদের ধরতে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দাদেরও কাজে লাগাতে হবে। ঙ) কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি, ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি, কাভার্ড ভ্যান চালক এবং হেলপারদের ডাটাবেজ প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে শেয়ার করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

ফারুক হাসান আরো বলেন, প্রায় দেড় যুগ ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুই হাজারেরও বেশি কাভার্ড ভ্যান থেকে শত শত কোটি টাকার রপ্তানিযোগ্য তৈরি পোশাক চুরি করেছে একটি চক্র। গত ২০২২ সালেই প্রায় ২০-২২টি চুরির ঘটনা ঘটেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here