বিশ্বের কাছে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরবে এফবিসিসিআই

দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের আয়োজন করা হয়েছে। এ সামিটের মূল লক্ষ্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, যা আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে বলে মনে করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন সামিটের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপনের পাশাপাশি এসব কথা বলেন সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

এফবিসিসিআই ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১১-১৩ মার্চ আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩, বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৩ এবং বাংলাদেশ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩।’ এতে দেশী-বিদেশী ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ বিশ্বের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত হবে তিনদিনের এ সামিট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামিটের উদ্বোধন করবেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে আরো ত্বরান্বিত করতে এ সামিট বিশেষ ভূমিকা রাখবে। সামিটের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ। বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বৈশ্বিক ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, উদ্ভাবক, নীতিনির্ধারক, বাজার বিশ্লেষক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তুলে ধরতে এ আয়োজন অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা, বাধা এবং উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করতে ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বিশ্লেষক এবং নীতিনির্ধারকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে তিনটি প্লেনারি সেশন, ১৩টি প্যারালাল সেশন, উন্মুক্ত আলোচনা, বিটুবি মিটিং, নেটওয়ার্কিং সেশন ইত্যাদি।’ এ সামিটে সহযোগিতা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

মো. জসিম উদ্দিন আরো বলেন, ‘এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্বের ১২ থেকে ১৫টি দেশের মন্ত্রীরা অংশ নেবেন বলে আমরা আশা করছি। পাশাপাশি কয়েকটি বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক এবং ইইউর ট্রেড কমিশনারকেও আনার চেষ্টা চলছে। তাছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বৃহৎ কোম্পানির প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কেননা, টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্যে সরকার সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণে অবকাঠামো উন্নয়ন করছে। অর্থনীতিকে আরো এগিয়ে নিতে সরকার বিজনেস ফ্যাসিলিটেশনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। সুতরাং এখনই সময় বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করার। এখনই সময় আমাদের ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির পথে যাত্রাকে ত্বরান্বিত করা।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here