বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের আরও টেকসই উন্নয়নে নেদারল্যান্ডসের সহায়তা চেয়েছে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সোমবার সফররত নেদারল্যান্ডস পার্লামেন্টের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সাথে বৈঠকে এ সহায়তা চান সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি নেদারল্যান্ডসের সফররত পার্লামেন্ট সদস্যদের মাধ্যমে দেশটির সরকারকে বাংলাদেশের এলডিসিতে উত্তরণ নির্বিঘ্ন রাখতে জিএসপির (ইবিএ) ট্রানজিশন পিরিয়ড তিন বছর থেকে ছয় বছরে সম্প্রসারণের বিষয়টি বিবেচনা করতেও অনুরোধ জানান।
বিজিএমইএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন, সার্কুলার ফ্যাশন, রিসাইক্লিং, জ্বালানি দক্ষতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে শিল্পকে সহায়তার জন্য সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় পোশাক শিল্পের উন্নতি ও শ্রমিকদের কল্যাণে একসাথে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে দুই পক্ষ।
নেদারল্যান্ডসের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন পিম ভ্যান স্ট্রিয়েন, আলেকজান্ডার হ্যামেলবার্গ, মোস্তফা আমহাউচ, রেমন্ড ডি রুন এবং স্ট্রিয়েনেকে ভ্যান ডার গ্রাফ। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, ডেপুটি হেড অব মিশন থিজস ওয়াউডস্ট্রা এবং দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি বাস ব্লাউ। বিজিএমইএর পক্ষে সভাপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মিরান আলী।
এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি প্রতিনিধি দলটির সদস্যদের পোশাক শিল্পে নিরাপদ কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলা এবং সামাজিক ও পরিবেশগত কমপ্লায়েন্স প্রতিপালনে শিল্পের অগ্রগতি বিষয়ে সার্বিক বর্ণনা দেন।
তিনি নেদারল্যান্ডসের সংসদ সদস্যদের সামনে বিজিএমইএর টেকসই কৌশলগত রূপকল্প-২০৩০ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, এ রূপকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য একটি টেকসই ও উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা।
বিজিএমইএ নতুন প্রত্যয়ের রূপকল্প অনুসারে উদ্ভাবন, ডিজিটালাইজেশন, পণ্য ও বাজারের বৈচিত্র্যকরণ এবং আরও বেশি উৎপাদনশীল হওয়ার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে টেকসই হতে চেষ্টা করছে বলে জানান ফারুক হাসান। তিনি বলেন, এর পাশাপাশি সামাজিক ও পরিবেশগত বাধ্যবাধকতাগুলোও পূরণ করে চলেছে।
টেক্সটাইল শিল্পের জন্য বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ওয়ান স্টপ রিসোর্স সেন্টার ও নলেজ হাব নির্মাণ এবং টেক্সটাইল টেকনোলজি বিজনেস সেন্টারকে (টিটিবিসি) সহায়তা করার জন্য নেদারল্যান্ডস সরকারকে ধন্যবাদ জানান বিজিএমইএ সভাপতি।