রপ্তানি আয় নগদায়নে ডলারের দাম বাড়ল আরও ১ টাকা

রপ্তানি আয় নগদায়নে ডলারের দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে রপ্তানিকারকেরা রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম পাবেন ১০৪ টাকা। নতুন এ সিদ্ধান্ত বুধবার থেকে কার্যকর করা হয়েছে। এতদিন রপ্তানিকারকেরা প্রতি ডলারের বিপরীতে পেতেন ১০৩ টাকা। নতুন করে তাদের জন্য ডলারের দাম ১ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) সম্মিলিতভাবে রপ্তানিকারকদের জন্য ডলারের দাম আরেক দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এবিবি ও বাফেদার চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, এখন থেকে রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকদের জন্য প্রতি ডলারের দাম হবে ১০৪ টাকা। ১০৩ টাকার পরিবর্তে রপ্তানিকারকেরা প্রতি ডলারের বিপরীতে ১০৪ টাকা পাবেন। অবশ্য কোনো রপ্তানিকারক যদি জানুয়ারিতে রপ্তানি আয় ফেব্রুয়ারিতে দেশে নিয়ে এসে থাকেন, তখন তাঁকে প্রতি ডলারের জন্য ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা দেওয়া হতো। অর্থাৎ দ্রুত রপ্তানি আয় দেশে আনলে সে ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকেরা ৫০ পয়সা বাড়তি পেতেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়তি এ দাম কার্যকর ছিল।

এদিকে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম আগের মতোই ১০৭ টাকায় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। তবে আমদানি দায় মেটানোর জন্য ডলারের দাম কত হবে, সেটা বাফেদার চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি। গত জানুয়ারিতে রপ্তানি আয়ের বিপরীতে ডলারের দাম ১০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তার আগের মাসে রপ্তানি আয়ে প্রতি ডলারের দাম ছিল ১০১ টাকা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তাতে সংকট আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here