জাতিসংঘের সমুদ্রবিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) বর্তমান মহাসচিব কিটাক লিমের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর। তার উত্তরসূরী নির্বাচনের জন্য ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এরই মধ্যে আইএমওর সাতটি সদস্য রাষ্ট্র এই পদের জন্য তাদের প্রার্থী মনোনীত করেছে। শেষ পর্যন্ত যিনিই নির্বাচিত হোন না কেন, এই প্রার্থী মনোনয়নের মাধ্যমে যে বিষয়টি জয়ী হয়েছে, সেটি হলো লৈঙ্গিক ও জাতিগত বৈচিত্র্য।
সাত মনোনীত প্রার্থীর মধ্যে তিনজন নারী। তারা হলেন কেনিয়ার ন্যান্সি কারিগিথু, ক্যারিবীয় দ্বীপ ডমিনিকার ডা. ক্লিওপেট্রা ডৌম্বিয়া-হেনরি ও ফিনল্যান্ডের মিন্না কিভিমাকি। এদের মধ্যে ন্যান্সি কারিগিথু নির্বাচিত হলে প্রথম আফ্রিকান মহাসচিব পাবে আইএমও।
এই তিনজন ছাড়াও আইএমও প্রধান নির্বাচনের দৌড়ে রয়েছে বাংলাদেশের মঈন উদ্দিন আহমেদ, তুরস্কের সুয়াত হায়রি আকা, পানামার আর্সেনিও অ্যান্টোনিও ডমিনগেজ ভেলাস্কো ও চীনের ঝ্যাং শিয়াওজি।
১৮ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠেয় আইএমও অধিবেশনের ৩৩তম সেশনে জমা দেওয়া হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সমুদ্র শিল্পে লৈঙ্গিক সমতার ওপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে। এই শিল্পে নারীদের খাতভিত্তিক সম্পৃক্ততা নিয়ে ২০২১ সালে একটি গবেষণা পরিচালনা করে আইএমও ও উইমেন’স ইন্টারন্যাশনাল শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েশন (ডবিøউআইএসটিএ)। গত বছরের মে মাসে প্রথম আইএমও ইন্টারন্যাশনাল যে ফর উইমেন ইন মেরিটাইম উপলক্ষ্যে সেই গবেষণার প্রতিবেদন ‘দ্য উইমেন ইন মেরিটাইম সার্ভে রিপোর্ট’ প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা গেছে, সমুদ্রশিল্পে সার্বিকভাবে মোট জনবলের ২৯ শতাংশ নারী। আর আইএমওর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমুদ্রসংক্রান্ত জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোয় নারীদের সম্পৃক্ততা ২০ শতাংশ।