ডলার সংকটের কারণে আমদানি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। আমদানি শুল্ক বাড়ানো, শতভাগ পর্যন্ত এলসি মার্জিন নির্ধারণ এবং নিয়মিতভাবে এলসির তথ্য তদারক করা হচ্ছে। মূলত বিলাসী পণ্য আমদানি কমাতে এমন উদ্যোগ। তবে ডলারের সংকটের প্রভাবে দেখা যাচ্ছে মূলধনি যন্ত্রপাতি এবং শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমছে বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৬ হাজার ২৪০ কোটি ডলার সমপরিমাণ এলসি খোলা হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ২৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। এ সময়ে এলসি সবচেয়ে কমেছে মূলধনি যন্ত্রপাতির। গত ১১ মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ২৬৯ কোটি ডলারের এলসি হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৬০০ কোটি ডলার। এর মানে কমেছে ৫৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
কমে যাওয়ার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে শিল্পের কাঁচামাল। এর এলসি ৩০ দশমিক ১৫ শতাংশ কমে ২ হাজার ৪২১ কোটি ডলারে নেমেছে। পর্যায়ক্রমে মধ্যবর্তী পণ্যে ২৪ দশমিক ৩০ শতাংশ কমে ৫২৬ কোটি ডলারে নেমেছে। ভোক্তাপণ্যে ১৮ দশমিক ১০ শতাংশ কমে নেমেছে ৭১৪ কোটি ডলারে। আর পেট্রোলিয়ামের এলসি ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ কমে নেমেছে ৮৪৪ কোটি ডলারে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, টাকা থাকলেও ডলার সংকটের কারণে অনেকে এলসি খুলতে পারছেন না। এ ছাড়া বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর অবস্থানের কারণেও এলসি কমে থাকতে পারে। বাজার ঠিক রাখতে চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ১৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত অর্থবছর বিক্রি করা হয় ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।