সমুদ্র খাতসৃষ্ট প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে আইএমওর গ্লোলিটার পার্টনারশিপ প্রজেক্ট

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থার (এফএও) সহযোগিতায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমুদ্রসংশ্লিষ্ট উৎস থেকে সৃষ্ট প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে গ্লোলিটার পার্টনারশিপ প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করছে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অরগানাইজেশন (আইএমও)। সামুদ্রিক খাতের প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত প্রথম বৈশ্বিক প্রকল্পটির অর্থায়ন করছে নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও সৌদি সরকার।

সমুদ্রে ফেলে দেওয়া, হারিয়ে যাওয়া ও পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা মাছ ধরার সরঞ্জাম থেকেই মূলত সমুদ্র খাতসংশ্লিষ্ট প্লাস্টিক দূষণের সৃষ্টি হয়। তবে কোন কোন উৎস থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য সৃষ্টি হয় সেটা নির্ণয় করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। প্লাস্টিক বর্জ্যরে উৎস চিহ্নিতকরণ, প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রকল্পভুক্ত ১০টি প্রধান অংশীদার ও ২০টি অংশীদার দেশগুলোর জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান এই সমস্যা মোকাবিলায় কাজ করছে গ্লোলিটার। এরই মধ্যে সাতটি দেশের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে এবং অন্যান্য দেশগুলোর কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করার পর্যায়ে রয়েছে।

প্রকল্পের অধীনে যেসব দেশের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে, মাদাগাস্কার তার অন্যতম। প্লাস্টিক দূষণ রোধে দেশটির জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্লাস্টিক সরঞ্জামের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও পরিবেশবান্ধব সরঞ্জামের ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হয়েছে। মাদাগাস্কার প্রতিনিধি দলের প্রধান অ্যাডোনিস তাফাঙ্গি বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে সমুদ্র খাতসংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা একান্ত প্রয়োজন।

শিপিং ও ফিশারিজ খাত থেকে সৃষ্ট প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ কষ্টসাধ্য হলেও সব দেশের অংশীদারিত্বে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করেন আইএমওর প্রকল্প ও অংশীদারিত্ব বিভাগের প্রধান জোস ম্যাথিকাল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here