জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১১টি দেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড প্রগ্রেসিভ এগ্রিমেন্ট ফর ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপে (সিপিটিপিপি) আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এর মাধ্যমে মুখ থুবড়ে পড়া ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপের (টিপিপি) বিবর্তিত রূপের জোটটির সদস্য সংখ্যা ১২টিতে উন্নীত হলো।
এদিকে চীন, তাইওয়ানসহ যেসব দেশ সিপিটিপিপিতে যোগদানের জন্য আবেদন করেছে, তারা চুক্তির ‘উচ্চ মানদণ্ড’ অনুসরণ করে চলার যোগ্যতা রাখে কিনা, সেই বিষটি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে বলে জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। চীন-তাইওয়ান ছাড়াও ইউক্রেন, কোস্টারিকা, উরুগুয়ে ও একুয়েডর সিপিটিপিপিতে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করে রেখেছে।
২০১৮ সালে ১১টি দেশকে নিয়ে যাত্রা হয় সিপিটিপিপির। এর পর প্রথম কোনো নতুন দেশ হিসেবে এতে যুক্ত হলো যুক্তরাজ্য। ২০২০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ফলে যুক্তরাজ্যের জন্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যে সমস্যা উদ্ভূত হয়েছিল, সিপিটিপিপিতে যোগদানের মাধ্যমে তা অনেকটাই দূর হবে।
আজ রোববার (১৬ জুলাই) নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সিপিটিপিপির কমিশন সভায় চুক্তিতে স্বাক্ষর করে যুক্তরাজ্য। এ সময় ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী কেমি ব্যাডেনোচ জানান, তার দেশ সিপিটিপিপির প্রথম নতুন সদস্য হতে পেরে আনন্দিত। এ চুক্তিকে ‘আধুনিক ও উচ্চাভিলাষী’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সদস্যপদ প্রমাণ করে যে, ব্যবসার জন্য যুক্তরাজ্যের দরজা উন্মুক্ত।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন টিপিপি থেকে সরে যাওয়ার পর জাপানের নেতৃত্বে নতুনভাবে সিপিটিপিপি উদ্যোগ নিয়ে অগ্রসর হয় ১১টি দেশ। ২০১৮ সালের ৮ মার্চ এটি কার্যকর হয়। জাপান ছাড়া জোটটির বাকি সদস্যগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই, কানাডা, চিলি, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পেরু, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম।
জোটটির সম্মিলিত জিডিপির আকার প্রায় ১৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি ডলার, যা বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। জিডিপির দিক থেকে সিপিটিপিপি বিশ্বের বৃহত্তম মুক্তবাণিজ্য চুক্তিগুলোর অন্যতম।