দানিউবে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক করতে হিমশিম খাচ্ছেন রপ্তানিকারকরা

সম্প্রতি ইউক্রেনের ইজমাইল ও রেনি বন্দরে ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। দানিউব নদীর তীরবর্তী বন্দর দুটিতে রুশ হামলার কয়েকদিন পর ইউক্রেনে ঢোকার একমাত্র প্রবেশমুখে আটকা পড়ে আছে প্রায় ডজনখানেক জাহাজ।

মঙ্গলবার অ্যানালিটিক্যাল কোম্পানি মেরিনা ট্রাফিক জানায়, কৃষ্ণ সাগরের মুসুুরা উপসাগরের আশপাশে প্রায় ৩০টি জাহাজ নোঙ্গর করে আছে। মুসুরা উপসাগরের একটি প্রণালী ইজমাইল বন্দরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে। এছাড়া ইজমাইল বন্দর অভিমুখে নোঙ্গর করেছিলো আরও অন্তত ২০ টি জাহাজ।

অন্যদিকে রোমানিয়ার কনস্ট্যান্টা বন্দরের আশপাশে প্রায় ২০টি বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। যাদের অনেকের গন্তব্যস্থলই রোমানিয়ার বন্দরগুলো। তবে অপেক্ষমান সকল জাহাজের গন্তব্যস্থল রোমানিয়া নয়। দানিয়ুবে জাহাজ নোঙ্গর করার জায়গা থাকায় কিছু জাহাজ কেবল মাত্র সেখানকার নিরাপদ জলসীমায় অবস্থান করছে। আবার অনেক জাহাজ পারাপারের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার সময়টুকুই কেবল সেখানে অপেক্ষা করে কাটাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর রোমানিয়া হয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানিতে ইউক্রেনের প্রধান গেটওয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে দানিউব নদীর তীরে অবস্থিত ইজমাইল বন্দর। ইজমাইল বন্দর ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় জাহাজ চলাচল ব্যহত হবার পাশাপাশি বাম্পার শস্য রপ্তানি নিয়ে বিপাকে পড়েছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের কৃষিমন্ত্রী টারাস ভিসোটস্কি বলেন, এত বিপুল পরিমাণ পণ্য নদী বা রেলপথে পরিবহন করা অসম্ভব। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের সকল খাদ্যশস্য রপ্তানী করতে হলে অবশ্যই কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলোকে পুনরায় সচল করতে হবে।

ইউক্রেনের দুইটি বন্দর লাগাতার রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্দরগুলো সংস্কার করে পুনরায় কার্যক্ষম করে যোগাযোগ স্থাপন করতে বেশ অনেকটা সময় লাগবে মনে করেন রোমানিয়ার দানিউব প্রশাসন সংস্থার নেভিগেশন ডিরেক্টর ফ্লোরিন উজুমতোমা।

অন্যদিকে, পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ায় দানিউব নদী দিয়ে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বীমার শর্ত কঠোর করছে বীমাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। শুধুমাত্র বীমাকারী প্রতিষ্ঠান নয় এই অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনা করা জাহাজ এবং ক্রুদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন জাহাজ মালিকেরা।

উল্লেখ্য যে, রাশিয়া ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ চুক্তি থেকে সরে আসার আগে দানিউবের তীরবর্তী বন্দরগুলো দিয়ে এক-চতুর্থাংশ খাদ্যশস্য রপ্তানি করত ইউক্রেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here