ডলার সংকটের কারণে কড়াকড়ি আরোপ ও কর বাড়ানোর ফলে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের আমদানি ব্যয় প্রায় ১৬ শতাংশ কমেছে। এর আগের অর্থবছরে আমদানি ব্যয় বেড়েছিল প্রায় ৩৬ শতাংশ। ফলে শুরু হয় ডলার-সংকট, যার প্রভাব পড়ে পুরো অর্থনীতিতে। বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি বেড়ে প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি চলে যায়। সে জন্য তা নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে আমদানি ব্যয় কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৭৫ বিলিয়ন বা ৭ হাজার ৫০৬ কোটি ডলার। তার আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি ব্যয় হয়েছিল ৮৯ বিলিয়ন বা ৮ হাজার ৯১৬ কোটি ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানি ব্যয় ছিল ৬৫ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৫৫৯ কোটি ডলার। এখন প্রতি মাসে যে পরিমাণ আমদানি ব্যয় হচ্ছে, তা রপ্তানি ও প্রবাসী আয় দিয়ে মিটে যাচ্ছে। তবে বিদেশি ঋণ পরিশোধ, সেবা, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ নানা খরচ বাবদ বিদেশে অর্থ পাঠানো হচ্ছে। আবার বিদেশি যেসব দায় রয়েছে, সেগুলোও শোধ করতে হচ্ছে।
১ আগস্ট থেকে ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা ও রপ্তানি বিল নগদায়নে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা করে দাম দিচ্ছে। এ ছাড়া আমদানি পর্যায়ে ডলারের সর্বোচ্চ দাম ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এই দাম নির্ধারণ করে।