২০২৪ সালের মধ্যে ১১ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) জাহাজ জেটিতে ভেড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাছাইয়ের কাজ চলছে। এখন জেটিতে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহরের অনেক বর্জ্য কর্ণফুলী নদীতে পড়ে। এ কারণে নদীর গভীরতা দিন দিন কমছে। অনেক বর্জ্য আমরা সরিয়েছি। এটি প্রাকৃতিক চ্যানেল। আগামী বছরের মধ্যে ১১ মিটার বা সাড়ে ১১ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দর জেটিতে ভেড়ানো সম্ভব হবে আশা করি। এর জন্য নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে দিন নেই, রাত নেই, কোনো হলিডে নেই। ২৪ ঘণ্টা সাত দিন সচল থাকে। আমাদের বন্দর সারাবিশ্বে সমাদৃত। বিভিন্ন দেশ ব্যাপক বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে। আগামী তিন বছরে ৫-৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে আশা করি। একইসাথে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসবে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো।
রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, ডিসেম্বরে বন্দরের নতুন কেমিক্যাল শেড চালু করা সম্ভব হবে, বহুতল কারশেড নির্মিত হয়েছে। পিসিটি পরীক্ষামূলক চলছে। বে টার্মিনাল ও এর ব্রেক ওয়াটারের ডিজাইনের কাজ শেষ পর্যায়ে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হবে শিগগিরই। এখন টেন্ডার নেগোসিয়েশনের কাজ চলছে। সরকারের অনুমোদন পেলেই আমরা কাজ শুরু করতে পারব।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী দিকনির্দেশনায়, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সমন্বয়ের মাধ্যমে বন্দর কর্তৃপক্ষ দেশের সমুদ্রপথে বহির্বাণিজ্য সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
মতবিনিময়কালে বন্দরের পর্ষদ সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. হাবিবুর রহমান, সদস্য (অর্থ) মো. শহীদুল আলম, পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ ও সচিব মো. ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।