যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইউএস বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। নতুন কিছু কোম্পানি এদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। তবে কর কাঠামো নিয়ে কথা বলেছেন তারা। তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে তিনি বলেছেন, সেখানে বিনিয়োগ করলে ১৫ বছরের কর অবকাশ সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে তাদের সব সমস্যার সমাধানে সরকার সহযোগিতা করবে।
এর আগে অনুষ্ঠানে রাখা বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের পটভূমিতে বৈশ্বিক যে সংকট দেখা দিয়েছে, তা সরকার এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। বর্তমান পরিস্থিতিতে যেসব চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে, তা মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে মার্কিন অংশীদারিত্ব বিশেষ করে মার্কিন উদ্যোক্তাদের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করায় বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রের সিংহভাগ বিনিয়োগ বাংলাদেশে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
টিপু মুনশি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হবে। এর ফলে কিছু উন্নত অর্থনীতির দেশের শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার ব্যাহত হবে। কিন্তু জাতি হিসেবে এলডিসি থেকে উত্তরণ দেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের। বাংলাদেশ এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সরকাররের নীতি সহায়তায় বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী উৎপাদন, উচ্চ উৎপাদনশীল কৃষি এবং একটি ক্রমবর্ধমান পরিষেবা খাত দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পৃথিবীর অনেক দেশের জন্য উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে এবং স্বীকৃতি পেয়েছে। কয়েক বছর ধরে প্রায় ৭ শতাংশ গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধিসহ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।