আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানি কমেছে। দেশটির কিছু প্রক্রিয়াকরণ প্লান্টে উৎপাদন কমে যাওয়া এবং তীব্র দাবদাহের কারণে বিদ্যুৎ ও তা উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা বেড়ে যাওয়া এলএনজি রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭৩ লাখ ২০ হাজার টন। জুলাইয়ে রপ্তানি ছিল ৭৫ লাখ ১০ হাজার টন। আলোচ্য সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানিমুখী এলএনজির প্রধান গন্তব্য ছিল ইউরোপ। মোট এলএনজি কার্গোর ৫২ শতাংশই গেছে সেখানে। এরপর এশিয়ায় ৩০ শতাংশ এবং দক্ষিণ আমেরিকা ও ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে ৭ শতাংশ এলএনজি কার্গো পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সাতটি এলএনজি এক্সপোর্ট প্লান্টে গ্যাস সরবরাহের দৈনিক গড় ১ হাজার ২৩০ কোটি ঘনফুটে নেমে আসে, যেখানে জুলাই মাসে এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৭০ কোটি ঘনফুট। আর গত এপ্রিলে তো দৈনিক গড় সরবরাহ ১ হাজার ৪০০ কোটি ঘনফুটের রেকর্ড করেছিল।
খরার কারণে পানামা খালে জাহাজ চলাচলের দৈনিক সংখ্যা ও জাহাজের ড্রাফট কমিয়ে দেওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি কার্গো সুয়েজ খাল অথবা আরও দূরের পথ দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তমাশা অন্তরীপ হয়ে ঘুরিয়ে এশিয়ায় পরিবহন করা হয়েছে।
রপ্তানি কমলেও আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন কিন্তু আগের মাসের চেয়ে বেশি ছিল। গত মাসে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল দৈনিক ১০ হাজার ২২০ কোটি ঘনফুট। জুলাইয়ে তা ছিল দৈনিক ১০ হাজার ২১০ কোটি ঘনফুট। আর্থিক প্রতিষ্ঠান এলএসইজি বলছে, তীব্র গরমের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে, বিশেষ করে টেক্সাসে গ্যাস-নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় গ্যাসের চাহিদা অনেক বেশি ছিল। এ কারণে এলএনজি প্রক্রিয়াকরণ প্লান্টগুলো তুলনামূলক কম গ্যাস পেয়েছে।