কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম দেশে বিনিয়োগ বাড়াবে

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে কমনওয়েলথে যোগদানের পর থেকে বাংলাদেশ সংগঠনটির একটি সক্রিয় অংশ ছিল। ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম বাংলাদেশকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির এক অসাধারণ সুযোগ করে দেবে।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবনের (বিডা) কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি, উদ্ভাবন প্রচার এবং বাংলাদেশের জন্য একটি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ অন্বেষণ করতে আগামী ১৩-১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ‘কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম’ এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

সালমান এফ রহমান বলেন, ফোরাম চলাকালীন বাংলাদেশ কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সামনে তার বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগগুলো প্রদর্শন করতে সক্ষম হবে। এটি সবার জন্য ইতিবাচক হবে।

বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্জনের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত সাড়ে ১৪ বছরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেডআই ফাউন্ডেশনের অংশীদারিত্বে কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (সিডব্লিউইআইসি) কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামটির আয়োজন করতে যাচ্ছে।

কমনওয়েলথ হলো ৫৬টি দেশের সমন্বয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যা একটি সাধারণ মূল্যবোধের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ এবং এ দেশগুলোতে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ লোক বসবাস করে। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে কমনওয়েলথের ৩৪তম সদস্য হিসেবে যোগদান করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here