ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। পরবর্তী ১০ বছর বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বাজারকে তার সাফল্যের ধারা বজায় রাখতে হবে। ইইউ বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে ইচ্ছুক বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এ ছাড়া আগামী ১০ বছরে ইইউ বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বাড়াতে চায় বলে জানান তিনি।
রাজধানীর একটি হোটেলে শনিবার (১৬ জুলাই) শুরু হয়েছে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এবং ফ্রেডরিক-এবার্ট-স্টিফটুং, বাংলাদেশের (এফইএস, বাংলাদেশ) যৌথ আয়োজনে ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ সিরিজের প্রথম অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন হোয়াইটলি।
রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে ইইউ কূটনৈতিক পদ্ধতি অবলম্বন করছে। ইউরোপে আর কোনো যুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটুক সেটি ইইউ চায় না। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। একই সঙ্গে চীনও বিশ্বে একটি পরাশক্তি হয়ে উঠেছে। কিছু বিষয়ে আদর্শগত ভিন্নতা থাকলেও ইইউ চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে।
হোয়াইটলি জানান, বাংলাদেশের অবকাঠামোগত নির্মাণ শিল্পে তাদের আগ্রহ বেশি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের অপার সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলো তারা কাজে লাগাতে চান। পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে ইইউ বাংলাদেশে প্রযুক্তি খাতে প্রশিক্ষণের পরিমাণ বাড়াতে চায়।