মাতারবাড়ি জেটি শততম জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। বুধবার (২৪ আগস্ট)এমভি হোসেই ফরচুন জাহাজটি বার্থিংয়ের মাধ্যমে এ মাইলফলক স্পর্শ করে মাতারবাড়ি জেটি। চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত বন্দরসীমা মাতারবাড়িতে ‘মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের’ আওতায় নির্মিত প্রথম জেটিতে ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রথম বার্থিং করে পানামা পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ ‘ভেনাস ট্রায়াম্প’। এরপর ১৫ জুলাই ২০২১ দ্বিতীয় জেটিতে প্রথমবারের মতো জাহাজ বার্থিং করে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) আন্তরিক প্রচেষ্টায় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে ইতিমধ্যে ১০০টি সমুদ্রগামী জাহাজ হ্যান্ডলিং সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এসব জাহাজ বার্থিং এবং জাহাজে পরিবাহিত প্রায় ১১ লাখ ১০ হাজার মালামাল খালাসের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের কোষাগারে রাজস্ব আয় হিসেবে জমা হয়েছে ২ কোটি ৮ লাখ টাকা। প্রতিনিয়ত যা বাড়ছে।
কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালে এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাহাজ ভিড়বে এই জেটিতে। বর্তমানে সিপিজিসিবিএল নির্মিত জেটিতে জাহাজ প্রবেশের জন্য চ্যানেলের প্রশস্থতা ২৫০ মিটার থেকে ৩৫০ মিটারে উন্নীত করা হয়েছে। এই চ্যানেল দিয়েই বঙ্গোপসাগর থেকে জাহাজ বন্দর জেটিতে প্রবেশ করছে। আগামী বছর মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৮০ হাজার টন কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ আসার কথা রয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্প এলাকার পাশেই বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের স্থাপিত এসপিএম প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে।
চ্যানেলটি নির্মাণের শুরু থেকে সিপিজিসিবিএলের নির্মাণসামগ্রী বহনকারী বৈদেশিক জাহাজসমূহ ও কার্গো হ্যান্ডলিং পরিচালনা কাজে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ টাগ, পাইলটেজ ও স্টিভিডোরিং সেবা প্রদান করে আসছে। বন্দরের পাইলটগণের দক্ষতা, প্রয়োজন অনুযায়ী টাগ সহায়তার কারণে চ্যানেলে এখন পর্যন্ত কোনো নৌদুর্ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া বন্দরের নিবিড় তত্ত্বাবধানের কারণে চ্যানেলে যাতায়াতকারী জাহাজসমূহে কোন চুরি, ডাকাতি বা অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি।