সামুদ্রিক নিরাপত্তা জোরদারে নতুন নীতি ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ইইউ

ক্রমবর্ধমান ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা, প্রযুক্তি এবং পরিবেশগত হুমকি থেকে সমুদ্রসীমাকে সুরক্ষিত রাখতে নতুন নীতি এবং কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

২০১৪ সালে ‘ইইউ মেরিটাইম সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি’ প্রণয়নের পর থেকে সামুদ্রিক নিরাপত্তার হুমকি এবং প্রতিবন্ধকতা কয়েক গুণ বেড়েছে। জলদস্যুতা, সশস্ত্র ডাকাতি, মানব পাচার, অভিবাসী, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান এবং সন্ত্রাসবাদের মতো অবৈধ কার্যক্রম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের জেরে সাম্প্রতিক সময়ে প্রভাবিত হচ্ছে আঞ্চলিক নিরাপত্তা। এসব কিছু মোকবিলায় ইইউ মেরিটাইম সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি হালনাগাদ করতেই নতুন নীতি ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

ইইউ কমিশনার ভিরগিনিয়ুস সিনক্যাভিচুস জানান, সামুদ্রিক নিরাপত্তার ওপর জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব মোকবিলা করতে নতুন নীতিমালা এবং কর্মপরিকল্পনা অনুসরণ করা হবে। এছাড়া সামুদ্রিক নজরদারি জোরদার করতে আধুনিক এবং শক্তিশালী যন্ত্রপাতির ব্যবহার, সাইবার ও হাইব্রিড হুমকি মোকবিলায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বৃদ্ধি এবং গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক অবকাঠামোর সুরক্ষা আরও শক্তিশালী করা হবে।

নতুন স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী, ইইউ পর্যায়ে নৌ মহড়ার আয়োজন, ইউরোপজুড়ে কোস্ট গার্ডের কার্যক্রম বৃদ্ধি, ইইউ বন্দরগুলোতে সিকিউরিটি ইন্সপেকশন জোরদার করা হবে। সেসঙ্গে উপকূল এবং সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় টহল জাহাজের নজরদারি জোরদার, পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদান বৃদ্ধি এবং ইইউ-ন্যাটো সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করা হবে। এছাড়া সাইবার এবং অন্যান্য হামলা থেকে জাহাজ ও গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক স্থাপনাগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে নিয়মিত নৌ মহড়া আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

নতুন স্ট্র্যাটেজিটি বর্তমানে ইইউ কাউন্সিলের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অন্যদিকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে নতুন কর্মকৌশল অনুমোদন ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানাচ্ছে ইইউ কমিশন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here