ভুটানকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য ভুটানকে প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লন্ডনের ক্লারিজ হোটেলের দ্বিপক্ষীয় সভাকক্ষে স্থানীয় সময় শনিবার দেশটির রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ও রানী জেটসুন পেমার সাথে বৈঠককালে তিনি এ প্রস্তাব দেন।

বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি। আপনারা ভুটানের অর্থনৈতিক অঞ্চলের মতো করে আমাদের দেশে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে পারেন। এরই মধ্যে ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। আপনারা চাইলে আমরা কুড়িগ্রামে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল দিতে পারি। বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে রেলপথসহ সব ধরনের যোগাযোগের উন্নয়ন করে যাচ্ছে।

ভুটানের রাজা পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে তার দেশে একটি প্রশাসনিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে চাওয়ার কথা বলায় শেখ হাসিনা তাকে এ প্রস্তাব দেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, সুখী দেশ ভুটান তাদের দেশের পরিবেশ বিপন্ন করতে চায় না। তাই প্রধানমন্ত্রী তাদের বলেন, বাংলাদেশ একটি সংযোগের কেন্দ্র। ভুটান তাই আমাদের দুটি বন্দর এবং সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে। কারণ আমরা সেগুলো এ উদ্দেশ্যে উন্মুক্ত করে দিয়েছি।

এ সময় ভুটানের রাজা ও রানী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক জানান, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুজনই বাংলাদেশে পড়ালেখা করায় বাংলাদেশের প্রতি তাদের বিশেষ অনুরাগ রয়েছে। তারা উভয়েই একান্তে বাংলাদেশ সফর করতে চান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা।

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ভারত হয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি ট্রানজিট পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ভুটানের এ আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে আমরা বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলব।

ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here