২০২২ সালে রাশিয়া থেকে রেকর্ড ১২০ কোটি ডলারের (১৫ হাজার ৫২০ কোটি ইয়েন) সিফুড আমদানি করেছে জাপান। ১৯৯২ সালের পর আমদানির পরিমাণ এটাই সর্বোচ্চ। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে।
এই পরিসংখ্যানের ফলে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের কিছুটা অবনতি হলেও সিফুডের চাহিদা পূরণে মস্কোর ওপর নির্ভরশীলতা এখনো রয়েছে টোকিওর।
গত বছর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার ওপর কিছু ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাপান, যার মধ্যে ভদকা ও প্রক্রিয়াজাত কাঠ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো পদক্ষেপও ছিল। অবশ্য এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় দেশটি সিফুডকে রাখেনি। তাদের আশঙ্কা ছিল, রাশিয়া থেকে সিফুড আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে জাপানের বাজারে পণ্যটির বড় ধরনের সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হতে পারে।
জাপানের নর্দার্ন টেরিটরিজ ও রাশিয়ার কুরিল দ্বীপপুঞ্জের সর্বদক্ষিণের অঞ্চলের মালিকানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে জাপান ও রাশিয়ার মধ্যে। এই বিরোধপূর্ণ জলসীমায় গত বছর জাপানের মৎস্য আহরণ কমেছে। বিপরীতে বেড়েছে রাশিয়ার মৎস্য আহরণ। বিষয়টি রাশিয়া থেকে জাপানের সিফুড আমদানি বেড়ে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
এর আগে জাপান রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি সিফুড আমদানি করেছিল ২০১৮ সালে; ১৪ হাজার ২০ কোটি ইয়েনের। ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির আমদানি উৎসের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপান। তাদের আগে রয়েছে চিলি ও যুক্তরাষ্ট্র। জাপানের মোট সিফুড চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশই পূরণ হয় আমদানির মাধ্যমে।