প্রধান বন্দরগুলোয় হাইড্রোজেনভিত্তিক জ্বালানি ব্যবহারের পরিকল্পনা ভারতের

নিজেদের বন্দর খাতে জলবায়ু কর্মসূচি নিয়ে আরও অগ্রসর হচ্ছে ভারত। দেশটির সরকার সম্প্রতি ‘হরিৎ সাগর’ শীর্ষক একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে, যার মূল লক্ষ্য হলো ২০৩৫ সাল নাগাদ দেশটির শীর্ষ ১২টি বন্দরে যেন হাইড্রোজেনভিত্তিক জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত হয়।

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণে হাইড্রোজেনকে সম্ভাবনাময় একটি বিকল্প জ্বালানি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে সারা বিশ্বেই। ভারতও এই সবুজ জ্বালানি ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে। হরিৎ সাগর সেই উদ্যোগেরই ফসল। এই পরিকল্পনায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমানোর কথা বলা হয়েছে। দেশটির নৌপরিবহন মন্ত্রী শ্রী সর্বনন্দা সোনোয়াল বলেছেন, ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতি টন কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের সময় কার্বন নিঃসরণ এক-চতুর্থাংশ ও ২০৪৭ সাল নাগাদ দুই-তৃতীয়াংশ কমানোর সার্বিক লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।

হরিৎ সাগর পরিকল্পনায় শীর্ষ ১২ বন্দরে ২০৩০ সাল নাগাদ এলএনজি বাংকারিং সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। আর গ্রিন হাইড্রোজেন অথবা গ্রিন এমোনিয়া বাংকারিং সেবা পাওয়া যাবে ২০৩৫ সাল নাগাদ।

এছাড়া ২০৩০ সাল নাগাদ বন্দরগুলোর মোট যানবাহন ও সরঞ্জামের অর্ধেক ও ২০৪৭ সাল নাগাদ ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ শক্তিচালিত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এই বিদ্যুৎ সরবরাহে নবায়নযোগ্য উৎসের ব্যবহার বাড়ানোর ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। ২০৩০ সাল নাগাদ বন্দর পরিচালনায় ব্যবহৃত বিদ্যুতের ৬০ শতাংশ ও ২০৪৭ সাল নাগাদ ৯০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে সরবরাহের কথা বলা হয়েছে হরিৎ সাগরে। এই ১২টি বন্দর আগামী তিন বছরের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য চার্জিং স্টেশন স্থাপন করবে।

২০৭০ সাল নাগাদ পুরোপুরি নিঃসরণমুক্ত হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে ভারতের। প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা থেকে তা আরও দুই দশক বেশি। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে সরকার বলছে, একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে তাদের স্বল্প খরচের জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের সুবিধা আরও কয়েক বছর অব্যাহত রাখার সুযোগ দিতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here