উত্তর কোরিয়ার মিসাইল পরীক্ষায় ঝুঁকিতে শিপিং খাত, আইএমওতে রেজোলিউশন গ্রহণ

পূর্বসতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি না দিয়েই উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর ফলে এশিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় ব্যস্ত সামুদ্রিক রুটে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের সমুদ্রবিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনকে (আইএমও) এ কথা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ।

বুধবার (৩১ মে) ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে আইএমওর মেরিটাইম সেফটি কমিটির (এমএসসি) ১০৭তম সেশন। প্রথম দিনেই একটি রেজোলিউশন গৃহীত হয়েছে, সেশনে অংশগ্রহনকারী শতাধিক দেশের মধ্যে সিংহভাগই যার প্রতি সহমত পোষণ করেছে। এই রেজোলিউশনে উত্তর কোরিয়ার মিসাইল পরীক্ষাকে আন্তর্জাতিক সমুদ্র পরিবহন ও নাবিকদের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।

বুধবার উত্তর কোরিয়ার ষষ্ঠ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে এবং এর ধ্বংসাবশেষ (বুস্টার ও প্লেলোড) সাগরে গিয়ে পড়েছে। তবে এর কারণে এখনও জরুরি সতর্কতা জারি রয়েছে এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের জলসীমার কিছু অংশ খালি করার নির্দেশনা বলবৎ রয়েছে।

উত্তর কোরিয়া অবশ্য এই রেজোলিউশনকে নাকচ করে দিয়েছে। তাদের দাবি, একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আত্মরক্ষামূলক যে পদক্ষেপ গ্রহণের অধিকার তাদের রয়েছে, তারা কেবল সেই নিয়মিত ও সুপরিকল্পিত কর্মসূচিই বাস্তবায়ন করছে। আইএমওর কমিটির কাছে দাখিলকৃত নথিতে তারা বলেছে, ‘কৌশলগত কারণেই আমরা আমাদের কোনো সামরিক মহড়া ও আত্মরক্ষামূলক কর্মসূচি সম্পর্কে আগে থেকে কোনো সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি দিতে পারি না।’ তারা আরও বলেছে, ‘আমরা মিসাইল উৎক্ষেপনের সময় নিখুঁত বৈজ্ঞানিক হিসাব-নিকাশ করে থাকি। এছাড়া এই উৎক্ষেপণের প্রভাবের স্থান ও জাহাজ চলাচলের রুটের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখি আমরা।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানসহ কয়েকটি দেশ উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও জাহাজ চলাচলের ঝুঁকির বিষয়ে আইএমওর কাছে একটি নথি জমা দিয়েছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নরওয়ে, স্পেন, ইউক্রেন, ব্রিটেন ও ভানুয়াতু।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here