রপ্তানিতে নগদ সহায়তা পেতে নতুন তিন শর্ত

বিদেশ থেকে প্রত্যাবাসিত বস্ত্র খাতে রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। তবে জাহাজ ভাড়া, বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ্য কমিশন, ইন্স্যুরেন্স ইত্যাদি বাদ দিয়ে এ সহায়তা দেওয়া হবে বলে নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রবিবার (২৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

বস্ত্রখাতে সিএমটি (কাট, মেক অ্যান্ড ট্রিম) পদ্ধতিতে রপ্তানি প্রণোদনা প্রসঙ্গে সার্কুলারটি জারি করা হয়। এতে বলা হয়, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রচলিত আমদানি নীতি আদেশে বর্ণিত বিধিবিধান পরিপালন সাপেক্ষে অন-নো-কস্ট ভিত্তিতে উপকরণ সংগ্রহের মাধ্যমে তৈরি পোশাক বা বস্ত্র সামগ্রী রপ্তানির বিপরীতে সিএমটি মূল্যের ওপর প্রযোজ্য রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা হিসাবায়নের সুবিধার্থে নিম্নলিখিত নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে-

(ক) বিদেশ থেকে প্রত্যাবাসিত সিএমটি মূল্যের ওপর জাহাজ ভাড়া (রপ্তানিকারক পরিশোধ করলে), বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ্য কমিশন, ইন্স্যুরেন্স ইত্যাদি বাদ দিয়ে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে।

(খ) অন-নো-কস্ট ভিত্তিতে আমদানিকৃত উপকরণের কাস্টমস কর্তৃপক্ষের মূল্যায়িত মূল্য, রপ্তানিতে ব্যবহৃত ব্যাক-টু-ব্যাক পদ্ধতির আওতায় সংগৃহীত অন্যান্য উপকরণের (যদি থাকে) মূল্যের সঙ্গে প্রত্যাবাসিত সিএমটি মূল্য (উপরোল্লিখিত ‘ক’ অনুসারে) যোগ করে রপ্তানি পণ্যের নিট এফওবি মূল্য নির্ণয় করতে হবে।

(গ) রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা প্রাপ্যতার জন্য স্থানীয় মূল্য সংযোজনের প্রযোজ্য হার বজায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের হার নিম্নরূপ হবে-

রপ্তানিতে ব্যবহৃত ব্যাক-টু-ব্যাক পদ্ধতির আওতায় সংগৃহীত স্থানীয় অন্যান্য উপকরণের (যদি থাকে) সঙ্গে যোগ করতে হবে সিএমটি মূল্য (জাহাজ ভাড়া রপ্তানিকারক বহন করলে, বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধযোগ্য কমিশন, ইন্স্যুরেন্স বাদে) এবং রপ্তানি পণ্যের নির্ণিত নিট এফওবি মূল্য দিয়ে ভাগ করতে হবে। এর সঙ্গে ১০০ পূরণ করে মূল্য সংযোজনের হার বের করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here