গত মাসে রাশিয়া ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ প্রত্যাহার করায় কৃষ্ণ সাগরে আবারও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যুদ্ধের ডামাডোলে রাশিয়ার গোলা বর্ষনের ঝুঁকির মধ্যে দ্বিতীয় জাহাজ হিসেবে ইউক্রেনের ওডেসা বন্দর ছেড়েছে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ প্রাইমাস। রোববার (২৭ আগষ্ট) এক টুইটার বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার কুব্রাকভ।
আফ্রিকায় ইস্পাত পণ্য বহনকারী জাহাজ প্রাইমাস ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ রুশ হামলার ঠিক আগে থেকে ওডেসা বন্দরে অবস্থান করছিলো। কুব্রাকভ জানান, যুদ্ধের কারণে জাহাজটি দীর্ঘ সময় ওডেসা বন্দরে আটকে ছিলো। অবশেষে কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের অস্থায়ী ‘মানবিক করিডোর’ ব্যবহার করে আফ্রিকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে প্রাইমাস।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দরগুলো অবরোধ করে রাখে রুশ সেনারা। এতে সমুদ্রপথে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলশ্রুতিতে বৈশ্বিকভাবে খাদ্য সংকট ও মূল্যস্ফীতি দেখা দেয়। এ সংকট দূর করতে গত বছরের ২২ জুলাই জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ চুক্তি স্বাক্ষর করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। চুক্তির ফলে যুদ্ধকালীন দামামার মধ্যে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে খাদ্যশস্য পরিবহনের নিরাপদ করিডোর তৈরি হয়েছিল।
ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ বলবৎ থাকাকালীন সময়ে ওডেসার তিনটি সমুদ্রবন্দর দিয়ে লাখ লাখ টন খাদ্য শস্য রপ্তানি করেছে ইউক্রেন। কিন্তু গত মাসে চুক্তি প্রত্যাহারের পর এই রুটে চলাচলকারী সকল জাহাজকে সম্ভাব্য সামরিক লক্ষ্যবস্তু হিসেবে গণ্য করার হুমকি দেয় রাশিয়া। এর ফলে আবারও অনিরাপদ হয়ে ওঠে ইউক্রেনের বন্দরগুলো।